বাড়ি ফিরতে গিয়ে বাংলার আরও এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর খবর সামনে এল। ওই শ্রমিক দাসপুরের বাসিন্দা। সূদূর মুম্বই থেকে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে চেয়েছিলেন তিনি। পথেই অবসন্ন শরীরটা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার সেকেন্দারি এলাকার চকপ্রসাদ গ্রামের যুবক সেখ রাজু আলি। কার্যত অসাধ্যসাধন করতে চেয়েছিলন তিনি। কাজ নেই, নেই পর্যাপ্ত খাবার। মৃত্যুভয় জাঁকিয়ে ধরেছিল রাজুকে। তাই মুম্বইয়ের কর্মস্থল থেকে পায়ে হেঁটেই দাসপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে ধীরে ধীরে টাকাকড়ি যা ছিল সব শেষ হতে থাকলে খাদ্যাভাবে শরীর অবসন্ন হতে থাকে রাজুর। চলার ক্ষমতা হারায়। পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় বহুদিন।
পরে ২০ শে মে পুলিশ সূত্রে খবর আসে, ভূসাওল রেলওয়ে স্টেশনের কাছ থেকে মহারাষ্ট্র পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। আশার আলো দেখে পরিবার। তবে পরের দিনই অন্ধকার ঘনিয়ে আসে চকপ্রসাদের এই যুবকের পরিবারে। ২১ মে মৃত্যু হয় দাসপুরের বছর ৩০ এর এই পরিযায়ী শ্রমিকের।
এমন মর্মান্তিক খবর পেয়েই দাসপুরের নন্দনপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ওই পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়ি পৌঁছে যান দাসপুরের প্রাক্তন বিধায়ক সিপিএম নেতা সুনীল অধিকারী। শেষ ইচ্ছে ছিল রাজুর বাড়ি পৌঁছানোর,মা বাবা পরিবারের সাথে এই বিপদের দিন কাটানোর। ইচ্ছে পূরণ হল না রাজুর। করোনা যাবে,লকডাউন উঠবে। তবুই ছেলের ঘরের ফেরার আশায় পথ চেয়ে বসে থাকবে মৃত পরিযায়ী শ্রমিক রাজুর পরিবার।