চলতি মরশুমেই আইএসএল দল এটিকের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে মোহনবাগান। আর তারপরই কলকাতার ফুটবল ভক্তদের মনে এখন প্রশ্ন, কলকাতার আরেক বড় ক্লাব ইস্টবেঙ্গলের ভবিষ্যৎ কী? তারা কি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের মতো নতুন লগ্নিকারী বা স্পনসরের মাধ্যমে আইএসএলে নাম লেখাবে? নাকি আইলিগেই থাকতে হবে তাদের?
ফুটবল প্রিয় কলকাতার ধড়ফড়ানি বাড়িয়ে দিতে পারে অন্য এক প্রশ্ন। ভারত তথা গোটা এশিয়ার ঐতিহ্যশালী ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ডার্বিরই বা ভবিষ্যৎ কী? মোহনবাগান এটিকের সঙ্গে মিলে গিয়ে আইএসএলে খেলা নিশ্চিত করেছে। ইস্টবেঙ্গল এখনও তা করে উঠতে পারেনি। যদি এ বারও তাদের আইলিগেই থাকতে হয়, তা হলে কলকাতার দুই প্রধানের রাস্তাটাই তো আলাদা হয়ে যাবে। অনেকের মতে, যা শুধু দু’টি ক্লাবের জনপ্রিয়তারই ক্ষতি করবে না, লক্ষ লক্ষ ভক্তদের জন্যও বড় ধাক্কা হবে।
মোহনবাগান যদি আইএসএলে খেলে আর ইস্টবেঙ্গল আইলিগে, তা হলে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর দ্বৈরথ সর্বভারতীয় স্তরে হওয়ার আর সম্ভাবনা থাকবে না। দু’দলের সাক্ষাৎ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে একমাত্র কলকাতা লিগ ফুটবলে। কিন্তু তা নিয়েও একাধিক জটিলতা রয়েছে। প্রথমত, মোহনবাগান এবং এটিকে আলাদা ক্লাব হিসেবে আইএফএ পরিচালিত কলকাতা ফুটবল লিগে নথিবদ্ধ। মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাব হিসেবে সর্বোচ্চ ডিভিশনে খেলে, এটিকে রয়েছে প্রিমিয়ার ‘বি’-তে। কলকাতা লিগে কি তারা আলাদা আলাদা ভাবেই থাকবে, নাকি এখানেও মিলিত শক্তি হিসেবেই মাঠে নামবে?
লিগের নিয়ম অনুযায়ী, দু’রকমই করা যেতে পারে। আইনত কোনও বাধা নেই। কিন্তু একটি ক্লাব মোহনবাগান-এটিকে নামে খেলতে গেলে যে কোনও একটি ক্লাব বন্ধ করে নতুন করে আইএফএ-তে নথিবদ্ধ হতে হবে। অন্যটা করতে গেলেও চিঠি দিয়ে জানাতে হবে। জানা গিয়েছে এটিকে ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রিমিয়ার ‘বি’-তে দল না নামানোর। প্রথম বোর্ড মিটিংয়ের পরেই আইএফএ-তে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেবে, এটিকে-মোহনবাগান নামে একটি দল হিসেবেই কলকাতা লিগে খেলবে। কিন্তু কোনো কিছুই এখনও নিশ্চিত নয়। তাই করোনা পরিস্থিতি যতদিন না স্বাভাবিক হচ্ছে তাই জানা যাবে না যে, ফুটবল প্রিয় বাঙালির ডার্বি আবার কবে দেখা যাবে।