উম্পুনের মোকাবিলায় গত কয়েকদিন ধরেই লড়াই করে চলেছেন রাজ্য সরকারের কর্মীরা। এই ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের দু’লক্ষেরও বেশি কর্মী ২৪ ঘণ্টা ধরে কাজ করছেন। নবান্নে এদিন বিকেলে কথা জানিয়ে ওই কর্মীদের কুর্নিশ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকায় জরুরি পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে বলেও এ দিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘূর্ণিঝড় উম্পুন পরবর্তী বিপর্যয় মোকাবিলায় সকলের সাহায্যও চেয়েছেন তিনি।
বুধবার রাতে উম্পুনের ভয়াবহ তাণ্ডবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর-সহ রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা। তার জেরে ভেঙে পড়ার পাশাপাশি উপড়ে যায় বহু গাছ। ঘরবাড়ি, বিদ্যুতের খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বহু জায়গা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। তৈরি হয় জলের সঙ্কট। সেই ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর থেকেই পুলিশ-প্রশাসন সহ রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট সব দফতরের কর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘রাজ্যের কয়েকলক্ষ কর্মী যাঁরা রাস্তা থেকে গাছ সরানো, বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ স্বাভাবিক করা, ত্রাণ বণ্টন, পরিকাঠামো পুনর্গঠন এবং শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার কাজ করে চলেছেন নিরন্তর, তাঁদের কুর্নিশ করি।’
এর সঙ্গে রাজ্যের কোন দফতরের কত কর্মী কাজ করছেন, তার একটি তালিকাও এদিন বিকেলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকারের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, উম্পুন বিধ্বস্ত এলাকায় প্রায় ২ লাখ ৩৫ হাজার ২০০ জন কর্মী কাজ করছেন। এর মধ্যে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৩০টি দলের ১,২০০ সদস্যকে বাদ দিলে বাকি প্রায় পুরোটাই রাজ্য সরকারি কর্মী। এই কর্মীদের কাজের প্রশংসা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন যে, ইতিমধ্যেই উম্পুন বিধ্বস্ত ৮০ শতাংশ এলাকায় অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা স্বাভাবিক করা গিয়েছে।