লকডাউনের মধ্যেই গত সপ্তাহে ২০২০ সালের সংশোধিত আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেছে বিশ্ব ব্যাডমিন্টন সংস্থা। আর ওই ক্যালেন্ডারেই দেখা যাচ্ছে যে, আগামী আগস্ট মাস থেকেই খেলা শুরু করতে চাইছে বিশ্ব ব্যাডমিন্টনের নিয়ামক সংস্থা। আর এই আগস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যেই হবে মোট ২২টি প্রতিযোগিতা। কিন্তু এই নতুন সূচি দেখে রীতিমত বিস্মিত অলিম্পিক্সে পদকজয়ী ভারতীয় ব্যাডমিন্টন তারকা সাইনা নেহওয়াল।
তিনি বলেছেন, ‘বিশ্ব ব্যাডমিন্টন সংস্থার সভাপতি নিজে একজন প্রাক্তন অলিম্পিয়ান। তিনি কীভাবে এই রকম একটা সূচি তৈরি করলেন তা বুঝতে পারছি না! এখন থেকে যেকোনও দেশে গেলেই ১৫ দিনের জন্য আইসোলেশনে থাকতে হবে। এই বিধি জানার পরেও বিশ্ব ব্যাডমিন্টন সংস্থা কীভাবে এই ধরণের সূচি তৈরি করল? এখানে একটি টুর্নামেন্টের সঙ্গে আর একটির ব্যবধান এক সপ্তাহও নয়। কখনও তিনদিনের। কখনও চারদিনের। আর পাঁচ মাসে ২২টি টুর্নামেন্ট খেলাও খেলোয়াড়দের পক্ষে ভয়ানক ধকলের বিষয়।’
এখানেই না থেমে তিনি বলেন, ‘এরকম কম সময়ে রত টুর্নামেন্ট খেললে চোট পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। সাধারণত সব আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় প্রথম শ্রেণির খেলোয়াড়রা অংশ নেয় না। তাঁরা মাঝে মাঝে বিশ্রাম নেয়। কিন্তু ২০২১ সালে অলিম্পিক্স। তার আগে র্যাঙ্কিং ঠিক রাখতে প্রতিটি প্রতিযোগিতাই গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে পাঁচ মাসে ২২টি টুর্নামেন্ট খেলা রীতিমতো চাপের। এই সূচি অমানবিক। সূচি দেখে আমি হতবাক।’
দেশের সেরা ডাবলস জুটি চিরাগ শেঠি ও সাইরাজ রেড্ডি বলেছেন, ‘বিশ্ব ব্যাডমিন্টন সংস্থার সূচি দেখে আমরা তো বিভ্রান্ত। খেলোয়াড়দের উপর দিয়ে প্রচণ্ড ঝড় বয়ে যাবে।’ এই মুহূর্তে ভারতের সেরা মহিলা শাটলার পিভি সিন্ধু অবশ্য এ ব্যাপারে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি। তবে তাঁর কোচ পুল্লেলা গোপীচাঁদ বলেছেন, ‘আমি আপাতত তাকিয়ে আছি ৩১ মে’র দিকে। ওই দিন সরকার ঘোষণা করবে লকডাউন আরও বাড়বে কিনা। বিশ্ব ব্যাডমিন্টন সংস্থার সূচি খেলোয়াড়দের কাছে বেশ চ্যালেঞ্জের। তাই দ্রুত কোর্টে ফিরতে চাইছে ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়রা।’