হেলিকপ্টারে উম্পুন বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনের পরেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে পাশে নিয়ে বাংলার পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে বাংলার যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা মোকাবিলার জন্য রাজ্যকে ১ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করলেন তিনি। বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন এবং বসিরহাটে প্রশাসনিক বৈঠকে বসে ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়নের পরই এই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে কেন্দ্র কী প্যাকেজ দিতে চলেছে, এমনকি এই প্যাকেজ কবে মিলবে, সেটাও এখনও স্পষ্ট নয় বলেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিমান কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন। তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়রাও বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে প্রধানমন্ত্রী রওনা দেন উম্পুন-বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনের জন্য। দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা, কুলতলি, ডায়মন্ড হারবার-সহ বিভিন্ন এলাকা এবং উত্তর ২৪ পরগনার রাজারহাট, মিনাখাঁ, হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, হাসনাবাদ, বসিরহাট আকাশপথে ঘুরে দেখেন তিনি।
পরিদর্শন শেষে বসিরহাটে নামে প্রধানমন্ত্রীর কপ্টার। তাঁর সঙ্গে রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীও সঙ্গে ছিলেন। বসিরহাট কলেজে প্রশাসনিক বৈঠকে বসে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের কাছ থেকে ক্ষয়ক্ষতির বিশদ হিসাব নেন মোদী। পরে তিনি জানান যে, ত্রাণ ও পুনর্গঠনের জন্য বাংলাকে ১ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ দেওয়া হবে। একইসঙ্গে এই ঘূর্ণিঝড়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলেও প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন এ দিন।
বসিরহাটে বৈঠক সারার পরে প্রধানমন্ত্রী মোদী কপ্টারে ফেরেন কলকাতা বিমানবন্দরে। সেখান থেকে রওনা হয়ে যান ভুবনেশ্বর, উড়িষ্যার পরিস্থিতি পরিদর্শনের জন্য। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্যাকেজের অঙ্কটা ঠিক কত, তা এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। ১ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন ঠিকই, তবে এটাই সম্পূর্ণ প্যাকেজ, নাকি এটা অগ্রিম, তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এ ব্যাপারে তিনি পরে সিদ্ধান্ত নেবেন। কিন্তু এটা অগ্রিম হতে পারে বলেও তিনি জানিয়েছেন। এছাড়াও এই প্যাকেজের কথা তিনি ঘোষণা করলেও, রাজ্য কবে টাকা হাতে পাবে, তাও জানা যায়নি।’