করোনা মোকাবিলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দীর্ঘমেয়াদি লকডাউন চলছে দেশে। উদ্দেশ্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গোষ্ঠী সংক্রমণ আটকানো। কিন্তু এরই মধ্যে শুক্রবার মাঝরাতে সারা দেশ জুড়ে সব দোকান খোলার নির্দেশিকা জারি করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। যদিও বেশ কিছু শর্তসাপেক্ষে সেই দোকান খুলতে দেওয়া হবে। কিন্তু এখনই এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ দিল্লী প্রশাসন। বরং এই নিয়ে সিদ্ধান্ত ২৭ এপ্রিল করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দিল্লীর এক শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তা।
প্রসঙ্গত, দিল্লীতে এমনিতে করোনা পরিস্থিতি বেশ জটিল। সেখানে গত ২৪ ঘন্টায় ১২৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৫১৪। এই পরিস্থিতিতে যেখানে করোনা প্রাদুর্ভাব কম, সেখানে দোকান খুলে করোনা পরিস্থিতি খারাপ করতে রাজি নয় দিল্লী প্রশাসন। বরং এই দুদিন দিল্লীর বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের তরফে পুরো পরিস্থিতি বিচার করে ২৭ এপ্রিল সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, দেশ জুড়ে লক ডাউনের মাঝেই বড় সিদ্ধান্ত নেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। শুক্রবার গভীর রাতে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয় মল বাদে সব ধরণের দোকান ফের একবার খোলা যাবে। বলা হয়েছে, এই নিয়ম দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বলবৎ হবে। তবে দোকানে সীমিত সংখ্যক কর্মচারী বহাল রাখতে হবে। তবে দেশের হটস্পট ও কন্টেইনমেন্ট জোনে কোনও দোকান খোলা যাবে না। এই নির্দেশের ফলে স্টেশনারি দ্রব্যের দোকান, সেলুন, ড্রাই ক্লিনার্স, ইলেকট্রনিক দোকান ফের একবার খোলা যাবে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘শপস এন্ড এস্টেবলিস্টমেন্ট আইনে নথিভুক্ত সমস্ত দোকান, দেশের সব প্রান্তে এবার থেকে খোলা যাবে। তবে কোনও ধরণের শপিং মল খোলা যাবে না। দোকানে সবচেয়ে বেশি ৫০ শতাংশ কর্মচারী থাকতে পারবে এবং তাদের মাস্ক পড়া ও সোশ্যাল ডিস্টানসিং মেনে চলা বাধ্যতামূলক।’