করোনা মোকাবিলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে গোটা দেশ জুড়ে লকডাউনের ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত ২৩ মার্চ গভীর রাত থেকে লাগু হয়েছে যা। ইতিমধ্যেই এই লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু এর জেরে রুটি-রুজি হারিয়েছেন অনেক মানুষ। পকেটে টান পড়ায় ইচ্ছা থাকলেও ভালো-মন্দ খেতে পারছেন না তাঁরা। শুধু তাই নয়, অনেক জায়গায় সবকিছু পাওয়াও যাচ্ছে না। এবার নিজের এলাকার সেইসব ঘরবন্দী মানুষের সহায় হলেন এক তৃণমূল কাউন্সিলর। ওই কাউন্সিলর নিজের ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি পরিবারে একটি করে মুরগি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এই সময় সবাই যাতে ঘরবন্দী থাকে এবং একটু ভাল খেতে পারে তার জন্য তিনি এমন উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর চঞ্চল খাঁড়া একেবারে নিজের উদ্যোগে তাঁর ওয়ার্ডের প্রতিটি বাড়িতে একটি করে মুরগি পৌঁছে দিচ্ছেন। রবিবার সকাল থেকে তার এই উদ্যোগ শুরু হয়েছে। অনুগামী কয়েকজন বাড়িতে বাড়িতে সেই মুরগি পৌঁছে দিচ্ছেন। প্রায় এক হাজার পরিবারকে তিনি একটি করে মুরগি দেবেন বলে জানিয়েছেন। এই পুরসভার অন্যান্য তৃণমূল কাউন্সিলরদের তরফ থেকেও অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নানান উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ-সহ নানান সামগ্রী। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে এবার চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজের পাশাপাশি একটি করে মুরগি বিলি করে নজর কাড়লেন চঞ্চল খাঁড়া।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনা ঠেকাতে বাড়িতে থাকাই একমাত্র দাওয়াই। আমরা চাই, মানুষ এই সময় ঘরেই থাকুন। যাতে আমরা করোনাকে হারাতে পারি। আমরা প্রত্যেকটি পরিবারের হাতে নানান ত্রাণ সামগ্রী তুলে দিয়েছি এবং দিচ্ছি। রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশে এবার সব পরিবারের হাতে একটি করে মুরগি তুলে দেওয়া হল। নিরামিষ খাচ্ছিলেন, এবার একদিন হলেও আমিষ খাওয়ার সুযোগ তাদের করে দেওয়া হল। প্রত্যেকের কাছে অনুরোধ, এই সময় কেউ বাড়ির বাইরে বের হবেন না। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এই উদ্যোগে খুশি এলাকার মানুষ। অনেকেই জানিয়েছেন, এই সময় পকেটে টান পড়ায় ইচ্ছা থাকলেও আমিষ খেতে পারছিলেন না তাঁরা। এবার একদিনের জন্য হলেও তাদের সেই ব্যবস্থা করে দিলেন কাউন্সিলর।