যত দিন গড়াচ্ছে ততই করোনার প্রকোপ বাড়ছে দেশে। অন্যান্যা রাজ্যের মতো করোনায় কাঁপছে বাংলাও। রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৫। মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অডিট রিপোর্টের পর বলছি, রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্য়া ৬৯।’
অন্যদিকে, মমতা আরও জানিয়েছেন, ‘মঙ্গলবার থেকে ফুলচাষীদের ছাড় দেওয়া হবে। ঘরে বসে বিড়ি বাঁধুন। একসঙ্গে অনেকে বিড়ি বাঁধলে ২ মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন। এজেন্টদের বলছি বাড়িতে গিয়ে সংগ্রহ করুন। কিষাণ মান্ডি খোলা থাকবে।’
এদিকে, চিকিৎসক, নার্স ও স্থাস্থ্যকর্মী-সহ ৭৯ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠাল নীলরতন সরকার হাসপাতাল। যাঁদের মধ্যে ৩৯ জন চিকিৎসক। উল্লেখ্য, এন আর এস হাসপাতালে হিমোফিলিয়া আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে জেনারেল ওয়ার্ডে রাখা হয়। এরপর তাঁর অবস্থা ক্রমশ সংকটজনক হয়ে ওঠে, যার ফলে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় হাসপাতালের সিসিইউ বা ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে। শনিবার তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে মৃত্যুর পরে তাঁর করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট এলে তাতে দেখা যায়, ওই রোগীর শরীরে মিলেছে কোভিড ১৯। আর এ কারণেই এনআরএসের এহেন পদক্ষেপ।
অন্যদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে ‘আগামী দিনের দিশা’ দেখানোর জন্য বিশেষ বোর্ড গড়লেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, ‘আমরাই প্রথম রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতের দিশা দেখানোর জন্য়, অর্থনৈতিক উন্নয়ন থেকে শুরু করে, সবকিছু নিয়ে গ্লোবাল অ্যাডভাইজরি বোর্ড ফর কোভিড রেসপন্স পলিসি ইন ওয়েস্টবেঙ্গল তৈরি করছি।’ এই বোর্ডে থাকছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত লকডাউন না মানার অভিযোগে ১৯৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মোট ৩৭টি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।