পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা হোম কোয়ারেন্টাইনের নোটিস লাগাতে এসেছিলেন। তাঁদের ফিরিয়ে দিলেন রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। একজন দায়িত্বশীল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এহেন আচরণে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রায়গঞ্জ শহরের সুদর্শনপুরে।
বুধবার দিল্লী থেকে ফিরেছেন সাংসদ। এসেই সোজা নিজের নির্বাচনী এলাকায় যান। নিয়ম অনুযায়ী এখন বাইরে থেকে ফিরলেই ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু সেই নিয়ম ভেঙে পরের দিনই রাস্তায় নেমে মাস্ক বিলি করেন তিনি। এরপরেই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লাগু করা লকডাউন ও হোম আইসোলেশনের নিয়মভঙ্গের পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব না মানার অভিযোগ ওঠে রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে।
শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর সুদর্শনপুরের বাড়িতে গিয়ে কমলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বাস্থ্যকর্মীরা হোম কোয়ারেন্টাইনের নোটিস লাগাতে গেলে তিনি বাধা দেন বলে অভিযোগ। গ্রাম পঞ্চায়েতের হেলথ সুপারভাইজার লক্ষ্মীরানি রায় বলেন, ‘কেউ বাইরে থেকে এলেই আমরা তাঁর বাড়িতে যাচ্ছি। ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা বলছি। একই সঙ্গে বাড়ির বাইরে নোটিসও লাগিয়ে দিয়ে আসছি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গেও আমরা দেখা করি। উনি জানান হোম কোয়ারেন্টাইনেই রয়েছেন তিনি। কিন্তু বাড়ির বাইরে নোটিস লাগাতে বারণ করেন।’
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রায়গঞ্জ শহর জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। যদিও দেবশ্রী চৌধুরী দাবি করেন, তাঁর বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনের নোটিস লাগালে অযথা মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়বেন। সে কারণেই সেই নোটিস লাগাতে দেননি। তবে তিনি বর্তমানে হোম আইসোলেশনেই রয়েছেন।