দমদমের প্রৌঢ়ের পর রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হল এক মহিলার। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি ছিলেন। রবিবার রাত ২টো নাগাদ প্রাণ হারান তিনি।
কর্মসূত্রে চেন্নাইতে থাকতেন কালিম্পংয়ের গরুবাথান ব্লকের বাসিন্দা বছর ৪৫-এর মহিলা। দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা হওয়ার ঠিক আগে, মঙ্গলবার তিনি চেন্নাই থেকে ফিরেছিলেন বাড়িতে। পরেরদিন শ্বাসকষ্ট দেখা যায় তাঁর। বুকে ব্যথা ক্রমশ তীব্র হতে থাকে। প্রথমে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান তিনি। সেখান থেকে তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই গত শনিবার রাতে রক্তপরীক্ষার রিপোর্টে জানা যায়, তিনি করোনায় আক্রান্ত। আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয় তাঁকে। রবিবার দুপুর পর্যন্ত ওষুধে সাড়া দিচ্ছিলেন কালিম্পংয়ের ওই মহিলা। কিন্তু সন্ধে হতেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তারপরই রাত ২টো নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। এই নিয়ে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল দুই।
এই সমস্যা নিয়ে বেশ কয়েকজন ভরতি হয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে। কিন্তু কী কারণে এতটা শ্বাসকষ্ট, তা বুঝতে পারছিলেন না চিকিৎসকরা। তাই সোয়াব সংগ্রহ করে নমুনা পাঠানো হয় নাইসেডে। শনিবার পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা যায়, ওই মহিলা করোনা পজিটিভ। রিপোর্ট দেখে কিছুটা হতবাক ডাক্তাররাও। কারণ, সে অর্থে এই মহিলার শরীরের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার অন্য কোনও উপসর্গ ছিল না। তাঁর মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বাড়ছে। তবে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, তাঁর মেয়ের শরীরে এই রোগের জীবাণু বাসা বাঁধেনি। হাসপাতালে ভরতি হওয়ার আগে তিনি কাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, রবিবারই নতুন করে রাজ্যের তিনজনের শরীরে মিলেছে ভাইরাস। তাঁর মধ্যে একজন আলিপুর কম্যান্ড হাসপাতালের চিকিৎসক। অন্য দুজনের বাড়ি বরানগর এবং শেওড়াফুলিতে। রাজ্যে এখন আক্রান্তের সংখ্যা ২০। মৃত দুই।