গোটা বিশ্ব, গোটা দেশ লড়ছে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে। সংক্রমণ রুখতে লড়ছে মধ্যপ্রদেশও। আর সেই লড়াইয়ে ব্যক্তিগত আবেগ, শারীরিক যন্ত্রণা দূরে সরিয়ে, করোনার থাবা থেকে মানুষকে মুক্ত করতে দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন ভোপাল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের এক আধিকারিক এবং এক কর্মী।
আশরাফ আলি ভোপাল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের সাফাই বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক। বুধবার সকাল আটটায় তাঁর কাছে বৃদ্ধা মায়ের মৃত্যু সংবাদ পৌঁছয়। সেই মুহূর্তে কাজ ছেড়ে তিনি যদি চলে যেতেন, তাহলে হয়তো কেউই কোনও অভিযোগ করত না। কিন্তু যাননি আশরাফ আলি। সারাদিন ডিউটি করার পর বিকেলে গিয়ে মায়ের শেষকৃত্যে যোগ দেন।
তিনি জানিয়েছেন, “আমি সকাল আটটায় আমার মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়েছিলাম। কিন্তু যাইনি কারণ, আমি চাইনি অন্য মায়েদের বিপদে ফেলতে। আমার মাতৃভূমিকে বিপদে ফেলতে। সেই মুহূর্তে ওটাই ছিল আমার একমাত্র কর্তব্য।”
নজির গড়েছেন আরও এক সাফাই বিভাগের কর্মী। তাঁর নাম ইরফান খান। গত সোমবার ভোপাল শহরে পথদুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন ইরফান। তাঁর কলারবোন ভেঙে যায়। ডান হাতের হাড়েও চিড় ধরে। চিকিৎসকরা ক’টা দিন বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিলেও শোনেননি ইরফান। বলেছেন, এখন সাফাইয়ের কাজ না করে বাড়িতে বসে থাকা মানে অপরাধ।