চতুর্দিকে করোনার আতঙ্ক৷ খাবার নিয়েও চরম অনিশ্চয়তা৷ এমন সংকটে একমাত্র নিরাপদ আশ্রয় নিজের বাড়ি৷ কিন্তু বাড়ি ফিরতে গেলেও মিলছে না যানবাহন৷ এই পরিস্থিতিতে ভিন রাজ্য থেকে বড় বড় শহরে কাজ করতে আসা হাজার হাজার শ্রমিক হেঁটেই মাইলের পর মাইল পথ পেরিয়ে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে ফেরার মরিয়া চেষ্টা করছেন। আর এই চেষ্টার জন্যেই প্রাণ গেল ৪ শ্রমিকের।হাইওয়ে ধরে বাড়ি ফেরার পথে বেপরোয়া ট্রাক এসে পিষে দিল তাঁদের৷ আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও তিনজন৷
পুলিশ ট্রাকটিকে আটক করলেও চালক পালিয়ে যায়৷ মৃতদের মধ্যে একজনের নাম কল্পেশ জোশি (৩২) এবং ময়াঙ্ক ভাট (৩৪)৷ বাকি মৃত এবং আহতদের এখনও পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি৷ অভিযোগ, লকডাউনের কারণে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় হাইওয়ের সব আলো নিভিয়ে রাখা হয়েছিল৷ যেখানে দুর্ঘটনা ঘটে, সেখানেও অন্ধকার ছিল৷
শুক্রবার ভোররাত তিনটে নাগাদ মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বাই- আহমেদাবাদ হাইওয়ের উপর ভিরার এলাকায়৷ জানা গিয়েছে, মুম্বাইতে কর্মরত সাতজন শ্রমিক কাজ হারানোর পর পায়ে হেঁটেই রাজস্থানে তাঁদের গ্রামে ফিরছিলেন৷ কিন্তু শুক্রবার রাতে তাঁরা গুজরাত- মহারাষ্ট্র সীমান্তের কাছে ভিলাড় থেকে তাঁদের ফিরিয়ে দেয় গুজরাত পুলিশ৷ ফলে ফের তাঁরা ভাসাইতে নিজেদের ঝুপড়িতে ফিরে আসছিলেন৷ সেই সময়ই একটি লরি এসে তাঁদের পিষে দেয়৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চার শ্রমিকের৷ হাসপাতালে ভর্তি তিনজনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷