বাংলার ঐতিহ্য দুর্গাপুজো। আর এই উৎসবের খ্যাতি আজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশ থেকে দেশান্তরে। বিশ্বের আনাচেকানাচে থেকেও মানুষ আসছেন ছুটে কলকাতার বুকে শারদোৎসব প্রত্যক্ষ করতে। কিন্তু এই বারটা একটু অন্য রকম। শুধু আমার শহর বা আমার দেশ নয় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তাকালেই শুধু হাহাকার আর মৃত্যু মিছিল দেখা যাচ্ছে। মারণ ভাইরাসের জেরে কলকাতাও আক্রান্ত। তাই এই অসময়ে মানুষের পাশে কলকাতার ফোরাম ফর দুর্গাপুজো সংগঠনই আর্থিক সাহায্য নিয়ে দাঁড়ালো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে। লক্ষ্য করোনাকে ঠেকানো।
চলতি বছরের পুজো অন্তত কলকাতার বুকে কেমন হবে তা নিয়েও কিন্তু প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। তবুও তার মধ্যেই ফোরাম ফর দুর্গাপুজো রাজ্য সরকারের আপাতকালীন ত্রাণ তহবিলে ২ লক্ষ টাকা তুলে দিল। কারণ সবার উপরে মানুষ। মানুষ নিজে ভালো না থাকলে পুজো কখনই সাফল্যমণ্ডিত হয়ে উঠববে না। মানুষকে নিয়েই পুজো। মানুষকে বাদ দিয়ে কিছু করা সম্ভব নয়। তাই মানুষের ভালোর জন্য, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এই উদ্যোগ এখন সাধুবাদ কুড়াচ্ছে সকলের কাছে।
ফোরামের তরফে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসু জানিয়েছেন, তাঁরা করোনার বিরুদ্ধে আর পাঁচজনের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে থেকে লড়াই করতে নেমেছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে তাঁরা ২ লক্ষ টাকা প্রদান করেছেন।
মারণ ভাইরাস করোনার থাবায় প্রায় গোটা দেশ। প্রায় ৭০০ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এই মারণ ভাইরাসে। মারা গিয়েছেন ১৭জন। এই অবস্থায় লক ডাউন ভিন্ন কোনও রাস্তা খোলা ছিল না কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে। টানা লক ডাউনের জেরে বিপদ বাড়ছে দেশের অর্থনীতিরও। যদি সেটা হয় তাহলে তার ধাক্কা কলকাতার দুর্গাপুজোর ওপরেও পড়তে বাধ্য।