বর্তমানে গোটা বিশ্বই ভুগছে মারণ করোনা ভাইরাসের প্রকোপে। এই রোগের হানায় বিপর্যয়ের মুখে গোটা মানবসভ্যতা। ভারতে যাতে এই রোগ মহামারীর আকার না ধারণ করতে পারে তাই গত মঙ্গলবার রাত ১২ টা থেকেই দেশজুড়ে আগামী ১৪ এপ্রিল রাত ১২ টা পর্যন্ত লক ডাউনের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি গোটা দেশেই জারি হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইন। তবে রাজ্যকে না জানিয়ে কেন্দ্রের তরফে এই আইন চালু করে দেওয়ায় কিছুটা মনোক্ষুন্ন হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সেই চাপা ক্ষোভই উঠে এল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়।
বুধবার নবান্নে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে একাধিক ইস্যুতে বক্তব্য পেশ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তিনি সদ্য লাগু করা জাতীয় বিপর্যয় আইন নিয়েও মন্তব্য করেন। বলেন, ‘রাজ্যের সঙ্গে কোনো রকম আলোচনা না করেই জাতীয় বিপর্যয় আইন করা হয়েছে। তবে কেন্দ্র যেহেতু পরিস্থিতি বুঝে এই আইন লাগু করেছে ফলে আইন মানতে হবে।’
তবে এটাও বুঝিয়ে দেন, আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত যে নিয়ম লাগু হয়েছে তার আগে যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় তবে রাজ্যবাসীকে কড়া আইনের ফাঁক থেকে কিছুটা হলেও ছাড় দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। এছাড়াও লক ডাউন পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীর কোনরকম সমস্যা মাল দিতে দুটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, জাতীয় বিপর্যয় আইন লাগু হওয়াতে এখন দেশের প্রত্যেকটি রাজ্যকেই মারণ করোনা ভাইরাস আটকাতে কেন্দ্রের দেওয়া নির্দেশ মেনেই চলতে হবে। গত ২৪ মার্চ জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় এই আইনের উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এই আইনের আওতায় থাকছে না অত্যাবশকীয় পণ্য। এদিকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয় যেহেতু রাজ্যের অধীনে থাকে এবার প্রয়োজনে এই আইনের ভিত্তিতেই কেন্দ্র ওই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে।