দেশজুড়ে চলা লক ডাউনের মধ্যে সাধারণ মানুষ নিয়ম ভাঙলেই পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে হাতে লাঠি তুলে নিচ্ছে পুলিশ। এক্ষেত্রে কিছু উপদ্রবীরা ঠান্ডা হচ্ছে। তবে অপরদিকে বেজায় সমস্যার মধ্যে পড়েছেন কয়েক শ্রেণীর মানুষ। যাদের মধ্যে অন্যতম সব্জি ও ভুসিমাল বিক্রেতা। সেই অভিযোগ গত দুদিন ধরেই আসছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর কানে।
এদিন সরাসরি ময়দানে নেমে তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী। লকডাউনের মধ্যে যাতে সাধারণ মানুষদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পেতে অসুবিধা না হয় তা নিশ্চিত করতেই এদিন পোস্তা বাজার সহ কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তের বাজারে সারপ্রাইজ ভিজিট করেন মমতা। সেখানে পৌঁছতেই বিক্রেতারা পুলিশের নামে নালিশের ঝুলি উপুড় করে দেন। সব শুনে পুলিশকে মৃদু স্বরে ভর্ৎসনা করেন মমতা। সাধারণ মানুষের যাতে অসুবিধা না হয় তা নিশ্চিত করারও নির্দেশ দেন তিনি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী পোস্তা বাজারে উপস্থিত হতেই স্থানীয় ব্যবসায়ীরা পুলিশের ডাণ্ডা চালানো নিয়ে সরব হন। অভিযোগ ছিল মূলত জোড়াবাগান থানার দিকেই। যা শুনে ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘জোড়াবাগানকে কে পাকামো মারতে বলেছে? দোকান যদি খোলা না থাকে তবে সাধারণ মানুষ খাবে কী?’ সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর পাশেই উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা।
তাঁর সামনেই কানে ফোন ধরে জোড়াবাগান থানাকে মমতা নির্দেশ দেন, ‘তোমরা পোস্তা বাজার খোলা রাখো’। ফোন রাখতেই ব্যবসায়ীদের অনুযোগ, ‘সবাইকে খুব মেরেছে ম্যাডাম। পুলিশ দেখলেই সবাই ভয় পাচ্ছে। সব জিনিস কেড়ে নিয়েছে’। সেই কথা শুনে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেন, এবার আর এসব হবে না। আমি জানতে পেরেছিলাম বলেই এসেছি।’ পুলিশকেও তিনি নির্দেশ দেন, বাজেয়াপ্ত করা সব সামগ্রী যেন দোকানদারদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়।