কলকাতার মাটিতে পা রেখেছেন সবে পরশু। শুটিংয়ে গিয়েছিলেন লন্ডনে। কিন্তু করোনা-আতঙ্ক এত তীব্র হয়ে ওঠে যে, শুটিং অসমাপ্ত রেখেই লন্ডন থেকে চলে আসতে হয় অভিষেক চট্টোপাধ্যায়কে। আপাতত অভিষেক বাড়িতে। সকলের সঙ্গে ছুটির মেজাজেই সময় কাটাচ্ছেন তিনি। তবে, কালকেই এক মঠে যাবেন করোনা-সতর্কতা নিয়ে এক সমাবেশে বলতে। বিদেশ থেকে ফিরেই কী ভাবে এই কাজ করছেন অভিষেক? তিনি জানিয়ে দিলেন বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ে সব কিছু ঠিক আছে তাই কোয়ারেন্টাইনে যাবেন না তিনি। এর পরেই শুরু হয়েছে আলোচনা। প্রশ্ন উঠছে নাগরিক হিসাবে তার সচেতনতা নিয়ে।
বিমানবন্দরে নেমেই অভিষেক বলেন পাবলিক গ্যাদারিং এড়ালেও পরিবারের থেকে দূরে থাকবেন না। তারপরেই প্রশ্ন ওঠে, যেখানে লন্ডন করোনা সংক্রামক দেশগুলির মধ্যে অন্যতম সেই দেশ থেকে ফিরে কি করে কোয়ারেন্টাইনে না যাওয়ার কথা বলেন উনি? অন্তত সচেতনতার জন্যেও কি তার যাওয়া উচিত ছিল না?
বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বিশ্বাস অবশ্য তা একেবারেই মনে করছেন না। অরিন্দমের কথায়: ‘‘অভিষেকবাবু ও তাঁর মতো বিদেশ থেকে ফেরা প্রত্যেকের উচিত অবিলম্বে নিজেদের গৃহবন্দি রাখা। এটা বাধ্যতামূলক। শরীরে করোনাভাইরাসের আক্রমণের লক্ষণ ফুটে ওঠে কি না তা সতর্ক ভাবে নজরে রাখতে হবে।’’ এখানেই থামেননি এই চিকিৎসক। তিনি বলেন, ‘‘প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সহজেই বাইরে বেরিয়ে আসছেন। তাঁরা ভুলে যাচ্ছেন, তাঁদের এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ তাঁদের অসংখ্য ফ্যানকে প্রভাবিত করবে। আমাদের দেশের যা জনসংখ্যা তাতে এক জনগোষ্ঠী থেকে আর এক জনগোষ্ঠীতে খুব দ্রুত এই রোগ ছড়িয়ে যেতে পারে এবং তা ভয়াল রূপ নিতে পারে। তাই অভিষেকবাবুদের নির্বিচারে কোয়রান্টিনে থাকতে হবে। এই কঠিন সময়ে এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে। সাধারণ মানুষকে শিক্ষিত ও সচেতন করে তোলার দায়িত্ব নিতে হবে।’