করোনা ভাইরাসের কবল থেকে কেউ সুরক্ষিত নন, কেউ না। কোনও যুবা যদি মনে করে এই ভাইরাস কেবল বয়স্কদের জন্য ক্ষতিকারক তবে এটা বড় ভুল। কমবয়সীদেরও অসুস্থ করে তাদের মেরে ফেলার ক্ষমতা আছে এই ভাইরাসের। এমনই ঘোষণা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওরফে হু। যেহেতু এই ভাইরাসের শিকার হচ্ছেন বেশিরভাগ বৃদ্ধরা, তাই তরুণ-তরুণীদের মধ্যে নিজেদের সাবধান রাখার একটা অবহেলা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এই প্রবণতা বিপজ্জনক হতে পারে বলে জানিয়েছে হু।
চীনে করোনার প্রকোপ কমলেও বহির্বিশ্বে এর প্রভাব বাড়ছে। মৃত্যুমিছিল ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। ইতালিতে একদিনে ৭০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্ব জুড়ে মৃত্যু ১১ হাজারের বেশি। এই তালিকাই ৬০ ও ৭০ বছরের বেশিদেরর সংখ্যা অধিক হলেও বয়স যাদের কম তারা অপরাজেয় বা করোনা তাদের কাহিল করতে পারবে না এমনটা ভাবা ভুল। হু-র ডিরেক্টর জেনারেল সতর্ক করে এই কথা বলেছেন। ‘যদিও ক্ষতি সর্বাধিক হয়েছে বৃদ্ধদের, কিন্তু যুবারাও কম বিপদে নেই। নানা দেশের তথ্য ঘেঁটে আমরা দেখতে পেয়েছি যে ৫০-এর নিচে বয়স যাদের তারা খুব দ্রুতগতিতে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।’ এক সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমের জানান তিনি। যুব সম্প্রদায়ের উদ্দেশে হু-র ডিরেক্টরের বার্তা, ‘আপনারা কেউই সুরক্ষিত নন, এই ভাইরাস আপনাদের হাসপাতালের বিছানায় ফেলে রাখতে পারে, এমনকী মৃত্যুও ঘটতে পারে। হতে পারে আপনারা অসুস্থ নয়। কিন্তু আপনি কোথায় যাচ্ছেন কী করছেন এর উপর অন্যদের জীবনও নির্ভর করছে।’ তবে উহানকে দেখে সবাইকে আশায় বুক বাঁধার বার্তা দিয়েছেন তিনি। যেভাবে এই ভাইরাসের উৎসস্থল স্বাভাবিক জায়গায় ফিরে আসছে তা অনেক দেশের জন্যই আশার আলো হতে পারে।
এর আগে হু একাধিকবার, বলেছে সামান্য উপসর্গেই ‘টেস্ট’ বা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা একান্ত প্রয়োজন। তাতেই চটজলদি ধরা পড়বে সংক্রমণ। কারণ নতুন গবেষণা বলছে এই ভাইরাস মানুষের থেকে বাহিত হচ্ছে বাতাস বা ‘এয়ার ড্রপলেট’-এর মাধ্যমে। প্লাস্টিক, কাঠ বা যে কোনও সারফেসে এরা বেঁচে থাকতে পারে কয়েক ঘণ্টা। এমনও দেখা গেছে সারফেসের ধরনের উপর নির্ভর করে ভাইরাসের স্ট্রেন বেঁচে রয়েছে পাঁচ-ছয় দিন পর্যন্ত। এই বিষয়টিই বর্তমানে বেশি করে ভাবাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে।