আমেরিকায় করোনাভাইরাস প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রথম ডোজ প্রয়োগ করা হল জেনিফার হ্যালার নামে এক নারীর দেহে। ১৬ মার্চ থেকে মারণ ভাইরাসের ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে। হলারই বিশ্বে প্রথম, যাঁর ওপর পরীক্ষামূলকভাবে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হল।
সোমবার ৩৪ বছর বয়সী দুই সন্তানের জননী জেনিফার প্রথম এই টিকা নেন। তিনি সেখানকার একটি স্টার্টআপের অপারেশনস ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন। সিয়াটলের কায়সার পার্মানেন্তে ওয়াশিংটন রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে প্রথম ইনজেকশনের মাধ্যমে টিকা নেন হলার। তারপর তিনি নিজের বাড়িতেই আছেন। সেখান থেকে তিনি বলেছেন, ‘টিকা নেওয়ার পর আমি খুব ভালো আছি। আমার হাতে কোনও যন্ত্রণা হয়নি। এটি অন্যান্য ফ্লু-র ভ্যাকসিনের চেয়ে অনেক ভালো।’
করোনাভাইরাসের টিকায় পরীক্ষামূলক প্রয়োগে হলারের অংশগ্রহণকে সমর্থন করেছেন অটানলির প্রধান নির্বাহী স্কট ফেরিস। তিনি বলেছেন, ‘আমি তাঁর এই ভ্যাকসিন নেওয়ায় গর্বিত’।
করোনা–ভ্যাকসিন নেওয়ার তালিকায় থাকা দ্বিতীয় স্বেচ্ছাসেবী মাইক্রোসফটের নেটওয়ার্কের কর্মী নীল ব্রাউনিংয়ের মতে, নাগরিক মূল্যবোধের জায়গা থেকেই তিনি এ পরীক্ষা করছেন। তাঁর সন্তানেরা এর জন্য গর্বিত। তিনি বলেন, প্রত্যেক মা-বাবা চান তাঁর সন্তানরা তাঁদের দেখাশোনা করুক।
ভ্যাকসিনটি নিরাপদ ও বিশ্বব্যাপী ব্যবহার–উপযোগী হতে পরীক্ষামূলকভাবে তিনটি পর্যায়ক্রমিক ধাপ পেরোতে হবে। প্রথম পর্ব ভালোভাবে পার হলে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে তা সাধারণের ব্যবহারের উপযোগী হতে পারে। প্রথম ধাপ শেষ হলে দ্বিতীয় ধাপে বেশিসংখ্যক মানুষের ওপর বেশি সময় ধরে এ ভ্যাকসিন পরীক্ষা করা হবে।