অর্থনীতি নিয়ে এর আগেও কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন লেখক চেতন ভগত। এবার দিল্লীর সঙ্ঘর্ষ প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করে ফের একবার মোদী-শাহদের কটাক্ষ করলেন তিনি। বিগত ৬ দিন ধরে রাজধানীতে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে গোটা দেশে আতঙ্কের পরিবেশ। দিল্লী দ্রুত স্বাভাবিক হওয়ার প্রার্থনা করছেন সকলেই। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না বলেই অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। এই প্রেক্ষিতেই আওয়াজ তুললেন চেতন। বললেন, ‘হিন্দু-মুসলিম ইস্যু ছাড়াও দেশে আরও আতঙ্কের ইস্যু করোনাভাইরাস বা অর্থনীতি, সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে না।’
এদিন ট্যুইট করে চেতন ভগত বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে বড় ধাক্কা দিয়েছে করোনা। বিশ্বের চাহিদা একেবারে কমে যাবে। ভারত ইতিমধ্যেই খারাপ অর্থনীতিতে ভুগছে যেটা পুনর্জীবিত করা খুবই কঠিন কাজ। বেকারত্ব নিয়েও সমস্যা। এই বিষয়ে তৎক্ষণাৎ নজরদারি জরুরি। কিন্তু চলছে হিন্দু-মুসলিম, হিন্দু-মুসলিম’। একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের মতো সমস্যারও সমাধান চাই। কিন্তু ধর্ম নিয়েই দেশ উত্তাল হয়ে রয়েছে।’
উল্লেখ্য, এর আগেও কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা মেরে চেতন ভগত বলেছিলেন, ‘অন্তত কুড়ি বছরের জন্যও যদি আমরা হিন্দু-মুসলিম ইস্যুকে দূরে সরিয়ে রেখে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার দিকে মনোসংযোগ করি তাহলে ২০৪০ সালের মধ্যে দেশের জিডিপি এমন জায়গায় পৌছবে যে প্রত্যেক ভারতবাসীর আর্থিক উপার্জন মাথাপিছু ১০,০০০ মার্কিন ডলারে পৌঁছে যাবে। আমার মনে হয় না যে অর্থনৈতিক অবস্থার এই রকম উন্নতি হলে আমরা আর এসব নিয়ে ব্যাপার গুলো নিয়ে মাথা ঘামাব।’ এই মন্তব্য করে তিনি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের বক্তব্যকে আমল দিয়েছেন তা বলাই বাহুল্য।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার থেকে রাজধানী দিল্লীতে যে সঙ্ঘর্ষ শুরু হয়েছে তাতে ইতিমধ্যেই ৩৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। কেন্দ্র ও দিল্লী সরকার বৈঠক করে একসঙ্গে দিল্লীকে শান্ত করার কথা বলেছিলেন। পরবর্তী সময়ে ‘শ্যুট অ্যাট সাইট’ অর্ডার দেওয়াও হয়। কিন্তু মৃত্যুর সংখ্যা কমছে আর না। নতুন করে সঙ্ঘর্ষের খবর না এলেও পুলিশি টহলদারি চলছে উত্তর-পূর্ব দিল্লীজুড়ে। অন্যদিকে, দিল্লী পুলিশের দিকে আঙুল তুলেছে সাধারণ মানুষ থেকে বিরোধীরা, যে তারা কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। দিল্লী হাইকোর্টও তাদের ভর্ৎসনা করেছে। এখন আপাতত তাদের তরফে জানান হয়েছে যে, প্রথমে তাদের কাছে কোনও অর্ডার ছিল না, এখন তারা মানুষের পাশে রয়েছেন।