গত কয়েকদিন ধরে চলতে রাজধানীর হিংসা নিয়ে বুধবারই দিল্লী পুলিশকে তুলোধোনা করেছিলেন তিনি। তাঁর একের পর এক প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয়ে যায় দিল্লী পুলিশ। শুধু তাই নয়। বুধবার কার্যত কাউকেই রেয়াত করেননি দিল্লী হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলীধর। গতকাল তাঁর এজলাসে দিল্লী হিংসা মামলার শুনানি চলার সময় দিল্লী পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রকেও একহাত নেন তিনি। আর তারপরই তড়িঘড়ি তাঁকে বদলি করা হল পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টে। যা নিয়ে এখন সরগরম জাতীয় রাজনীতি। বৃহস্পতিবার সকালে যেমন এই প্রসঙ্গে প্রয়াত বিচারপতি বি এইচ লোয়ার নাম উল্লেখ করেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে ভুয়ো এনকাউন্টার মামলা চলার সময় যাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে তুমুল বিতর্ক হয়েছিল। এদিন রাহুল টুইটারে লিখেছেন, ‘আমার এখন সাহসী বিচারপতি লোয়ার কথা মনে পড়ছে। তাঁকে বদলি করা হয়নি।’
প্রসঙ্গত, বিচারপতি মুরলীধরকে বদলি করার বিরুদ্ধে এদিন সকাল থেকেই সমালোচনা শুরু হয়েছে। দিল্লীর দাঙ্গা নিয়ে তিনি কেন্দ্র ও দিল্লী সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর মন্তব্য করেছিলেন। শুধু তাই নয়। মামলার শুনানির সময় বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রের বক্তব্যের রেকর্ড বাজিয়ে শোনাতে বলেছিলেন বিচারপতি মুরলীধর। তাঁর নির্দেশেই রবিবার অশান্তি শুরু হওয়ার ঠিক আগে কপিল মিশ্র উত্তর-পূর্ব দিল্লীতে যে বক্তৃতা করেছিলেন, আদালতে তা বুধবার শোনানো হয়। এরপরই বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র, প্রকাশ ভর্মা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দেয় বিচারপতি এস মুরলীধর ও বিচারপতি তলবন্ত সিংয়ের বেঞ্চ। তাঁরা এ-ও জানিয়ে দেন, বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটের মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে। তবে তারপরেই সন্ধ্যায় মুরলীধরের বদলির নোটিস জারি হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই বিতর্কের সূত্রপাত ঘটে।