সিএএ-র বিরোধিতা করে এখনও অবধি রেয়াত পাননি কেউই। কেউ রাজনৈতিক হিংসার শিকার হয়েছেন, কেউ বা রয়েছেন পুলিশি হেফাজতে। তবে তাঁর নিজের রাজ্যেরই প্রাক্তন রাজ্যপাল এই কাজ করায় একটু অস্বস্তিতে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ পুলিশ স্টেশনে এফআইআর দায়ের করা হয় উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন রাজ্যপাল আজিজ কুরেশির বিরুদ্ধে। ২২ ফেব্রুয়ারি উত্তরপ্রদেশের ইদগাহ ময়দানে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বক্তব্য রাখায় তাঁর বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করা হয়। পাশাপাশি সিএএ বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় ২ ফেব্রুয়ারি আরেকটি এফআইআর দায়ের করা হয় প্রাক্তন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে।
মোরাদাবাদে পুলিশ আধিকারিক অমিত আনন্দ জানান, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৩, ১৪৫ ও ১৪৪ ধারা অনুযায়ী সিএএ বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা ও উস্কানিমূলক মন্তব্য করায় গলশাহবাদ থানায় এফআইআর দায়ের করা হয় কুরেশির বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের ইদগাহ ময়দানে ভাষণ দেওয়ার সময় অজিজ কুরেশি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের তীব্র বিরোধিতা করেন। সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠেন।
উল্লেখ্য, আজিজ কুরেশি আগে উত্তরাখণ্ড ও মিজোরামের রাজ্যপালের পদে বহাল ছিলেন। ইদগাহ ময়দান থেকে তিনি বলেন, ‘বিজেপি সরকার অর্থাৎ নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ এই দেশে ধর্মের বিভেদ তৈরি করতে চাইছেন। তাঁরা হয়তো জানেন না দেশের স্বাধীনতায় মুসলিমদের অবদানও অবিস্মরণীয়। তাঁদের ১৮৫৭ সালের যুদ্ধে ইতিহাস ঘেটে দেখা উচিত।’
২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের ইদগায় সিএএ বিরোধী আন্দোলন চলে। চলতি মাসের ১৫ তারিখ সিএএ বিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন, আন্দোলনকারীদের উস্কানি দেওয়া ও উত্তরপ্রদেশে ভাঙচুর চালানোর দায়ে করার জন্য কংগ্রেস নেতা তথা কবি ইমরান প্রতাপঘড়ির বিরুদ্ধে ১ কোটি চার হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ ও জরিমানা ধার্য করা হয়।