শিখ ধর্মালম্বীদের কর্তারপুরে যাওয়ার ক্ষেত্রে পাকিস্তান পাসপোর্ট ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। ইসলামাবাদের এই সিদ্ধান্ত ঘিরেই এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন পাঞ্জাবের পুলিশ প্রধান দিনকর গুপ্ত। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “কর্তারপুর সাংঘাতিক জায়গা। ওখানে এমন সম্ভাবনা রয়েছে যে, কাউকে সকালে পাঠানো হলে সে বিকেলে প্রশিক্ষিত জঙ্গি হয়ে ফিরে আসতে পারে।”
শুক্রবার এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডিজিপি দিনকর গুপ্ত বলেন, এই ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। যার কারণেই এত বছর ওটা খোলা হয়নি। আমি ৮ বছর গোয়েন্দা বিভাগে ছিলাম, আমি জানি এটা নিরাপত্তার দিক থেকে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের জায়গা। কিন্তু ওই সম্প্রদায় ঠিক যা চেয়েছিল সেটাই হল। সব সুরক্ষাকে আপাতত জলাঞ্জলি দেওয়া হল।’ এরপরই তিনি আরও জানান, কর্তারপুর এমন এক জায়গা যেখানে সকালে যদি আপনি ওখানে কাউকে পাঠান, সন্ধ্যাবেলায় দেখবেন সে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়ে ফিরে এসেছে। আর ৬ ঘণ্টা যদি কেউ ওখানে থাকে তবে তাঁকে ফায়ারিং রেঞ্জে নিয়ে যাওয়া হবে। কীভাবে আইডি বানাতে হয় সেটাও শিখিয়ে দেওয়া হবে।’
পাঞ্জাবের ডিজিপি দিনকর গুপ্ত বলেন, “কোনও নিরাপত্তা বেষ্টনী না রেখে এই করিডর খুলে দেওয়া উদ্বেগের বিষয়। এই কারণেই এত বছর ধরে এটি খোলা হয়নি। আমি আট বছরের জন্য গোয়েন্দা ব্যুরোতে ছিলাম। তখনই বুঝতে পেরেছিলাম যে এটা সুরক্ষার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।”
উল্লেখ্য, গুরু নানকের ৫৫০ তম জন্মবার্ষিকির মাত্র ৩ দিন আগে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয় কর্তারপুর করিডোর। শিখদের বিশ্বাস গুরু নানক তাঁর জীবনের শেষ ১৮ বছর বর্তমান পাকিস্তানের নারোয়াল প্রদেশে কাটিয়েছিলেন। ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর ভারতের দিকে এই করিডোরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবং পাকিস্তানের দিকে অংশের উদ্বোধন করেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।