এখনও পর্যন্ত ঠিক রয়েছে আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি হবে শান্তিচুক্তি। আর তার ঠিক এক সপ্তাহ আগে অর্থাৎ আজ শনিবার থেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে যুদ্ধবিরতিতে সামিল হচ্ছে যুযুধান সব গোষ্ঠী। তালিবান-আমেরিকা ও আফগান সেনা এই সাতদিনের যুদ্ধবিরতি চলাকালীন সময়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে আক্রমণ না চালানোর নীতি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যুদ্ধবিরতি চলাকালীন কোনও হামলার ঘটনা না ঘটলে তালিবানদের সঙ্গে শান্তিচুক্তির জন্য আলোচনা শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মাইক পম্পে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তকে ইতিমধ্যেই স্বাগত জানিয়েছেন তালিবানদের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকার টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসবাদী হামলার পরেই আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে তৎকালীন তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে পাল্টা আক্রমণ চালায় আমেরিকার নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সামরিক বাহিনী। ওই আক্রমণে তালিবানরা শাসন ক্ষমতা হারালেও পুরো আফগানিস্তানকে কট্টর মৌলবাদীদের দখলমুক্ত করতে ব্যর্থ হয় ন্যাটো। গত দু’দশক ধরে উভয় পক্ষের যুদ্ধে এক লাখেরও বেশি আফগানবাসী প্রাণ হারিয়েছেন। বর্তমানে আফগানিস্তানে প্রায় ১৪ হাজার মার্কিন সেনা ও ন্যাটোভুক্ত ৩৯টি দেশের ১৭ হাজার সেনা ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে।
তবে গত কয়েক মাস ধরেই আফগানিস্তানে শান্তি ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তালিবানদের সঙ্গে আমেরিকার বৈরিতা ঘোচানোর উদ্যোগ নিয়েছেন মধ্যস্থতাকারীরা। প্রাথমিক আলোচনায় ঠিক হয়েছে, প্রথমে মার্কিন সেনার বিরুদ্ধে হিংসাত্মক কার্যকলাপ বন্ধ রাখবে তালিবানরা। তার পরেই ধীরে-ধীরে আফগানিস্তান তেকে পাততাড়ি গোটাবে মার্কিন সেনারা। শুক্রবার এক টুইট বার্তায় মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মাইক পম্পে জানিয়েছেন, ’২২ ফেব্রুয়ারি ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি সফল হলে ২৯ ফেব্রুয়ারি তালিবানদের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’