একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও মধ্যযুগীয় ভাবনাকে যেন কিছুতেই ঝেড়ে ফেলতে পারছে না মোদী রাজ্য গুজরাত। গত সোমবারই ভুজের সহজানান্দ গার্লস ইনস্টিটিউটের হস্টেলে পিরিয়ড হয়েছে কি না তা জানতে প্রায় নগ্ন করা হয়েছিল কলেজের ৬৮ জন ছাত্রীকে। সেই নিয়ে তোলপাড় হয়েছে দেশ।
তার পর এক সপ্তাহও কাটল না। এবার মোদী রাজ্যের সুরাটে পুরনিগমের মহিলা ট্রেইনি ক্লার্কদের মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য দীর্ঘক্ষণ হাসপাতালে লাইন দিয়ে নগ্ন করে দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগ উঠল। মহিলা ডাক্তাররা ব্যক্তিগত প্রশ্নে জর্জরিত করলেন পুরকর্মীদের।
এ নিয়ে ইতিমধ্যেই কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে কর্মচারীদের সংগঠন। তাঁদের অভিযোগ, শতাধিক মহিলা কর্মীকে বাধ্যতামূলক ফিটনেস টেস্টের জন্য সুরাট মিউনিসিপ্যাল ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চে গিয়ে অত্যন্ত অস্বস্তির মুখে পড়তে হয়।
একজনের থেকে সে কথা জানতে পেরে এক শীর্ষ কর্মী বলেন, ‘মহিলা কর্মীদের জোর করে একসঙ্গে নগ্ন করে দাঁড় করানো হয়। একটি ঘরে ১০জন করে ছিলেন। যেখানে তাঁদের গোপনীয়তা বলে কিছু ছিল না। দরজাটাও ঠিকমতো বন্ধ ছিল না। বাইরের লোক যাতে ভেতরের দৃশ্য দেখতে না-পারে সে জন্য শুধু একটি পর্দা টাঙানো ছিল।’
এখানেই শেষ নয়, কর্মীদের বিতর্কিত ফিংগার টেস্ট দিতে হয় বলেও অভিযোগ। অবিবাহিত মহিলাদের থেকে জানতে চাওয়া হয়, তাঁরা কোনও সময় গর্ভবতী হয়েছেন কি না। যে মহিলা ডাক্তাররা গায়নোলজিক্যাল টেস্ট নিচ্ছিলেন, তাঁদের কয়েকজন অত্যন্ত রূঢ় ব্যবহার করেন বলেও অনেকে অভিযোগ করেছেন।