প্রত্যেক কর্মীকে অন্তত একজন পুরুষের নির্বীজকরণ করাতেই হবে। আগামী মার্চ মাস শেষ হতে হতে যদি কর্মীরা যদি কমপক্ষে একজন পুরুষের নির্বীজকরণ না করতে পারেন, তবে ধরানো হবে ভিআরএস। মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্য কর্মীদের এমনই নির্দেশ দিয়েছে কমল নাথ সরকার। জন্ম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সঞ্জয় গান্ধী একদা জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন ‘হম দো হামারে দো’। সেই বক্তব্যকেই পাথেয় করে এবার নিজের রাজ্যে সেই নিয়ম জারি করতে চাইলেন কমল নাথ।
প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্য কর্মসূচীর আওতায় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে যে অভিযান শুরু করা হয়েছে, এই নির্দেশিকাও তারই অংশ। জানা গিয়েছে, জন্ম নিয়ন্ত্রণের কড়া নির্দেশকা জারি করে রাজ্যের প্রতিটি পুরুষ স্বাস্থ্যকর্মীকে ডেকে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, মার্চের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি পরিবারের একজন করে পুরুষকে নির্বীজকরণ করাতে হবে। তাঁর পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচী অনুযায়ী, পুরুষদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য ১১ ফেব্রুয়ারি মধ্যপ্রদেশের জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন (এনএইচএম) এই বিজ্ঞপ্তি জারি করে।
একটি রিপোর্ট উদ্ধৃত করে কমলনাথ জানান, ২০১৯-২০২০ বর্ষে যে সকল স্বাস্থ্যকর্মীরা রাজ্যের একজন করে পুরুষকেও নির্বীজকরণ করাতে সফল হননি তাদের বেতন আটকানো হবে, অথবা তাদের স্বেচ্ছা অবসর গ্রহণ করার পরামর্শ দেওয়া হবে। একটি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে প্রকাশিত, মধ্যপ্রদেশের জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন-৪-এর রিপোর্টের ভিত্তিতে কমল নাথ দাবি করেন, মধ্যপ্রদেশে প্রায় ০.৫ শতাংশ পুরুষ নিজেদের নির্বীজকরণ করিয়েছেন।
জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের ডিরেক্টর একটি নির্দেশিকা জারি করে বলেন, ২০১৯-২০২০ বর্ষে যে স্বাস্থ্যকর্মীরা এই নির্দেশিকা অনুযায়ী ‘একটাও কাজ করেননি’ তাঁদের চিহ্নিত করতে হবে। পাশাপাশি তাঁদের বেতনও আটকে রাখা হবে। নির্দেশিকা জারি করে লক্ষ্যপূরণে ব্যর্থ সেই স্বাস্থ্যকর্মীদের অবসর নিতে ও স্বাস্থ্য দফতরকে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্য মিশনের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ভারতই প্রথম দেশ, যেখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে ১৯৫২ সালে রাষ্ট্রীয় প্রকল্প হিসেবে নির্বীজকরণ চালু হয়। এই প্রকল্পে পুরুষদের সহযোগিতা বাড়ানো সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। জানা যাচ্ছে, যে সব পুরুষদের ইতিমধ্যেই এক বা দুই সন্তান রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেই এই পদ্ধতি প্রয়োগের উপর জোর দেবে কমল নাথ সরকার। সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, এতে একদিকে যেমন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। অপরদিকে অপরিকল্পিত সন্তান আসবে না।