ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিএসএফ ঝড়ে উড়ে গেল এবিভিপি। পাঁচটির মধ্যে পাঁচটিতেই জিতে গিয়েছে ডেমোক্র্যাটিক স্টুডেন্ট ফেডারেশনের (ডিএসএফ) প্রতিনিধিরা।
তিন বছর পর ছাত্র নির্বাচন হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গণনা। ক্যাম্পাসে চাপা উত্তেজনা থাকলেও এখনও কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঘিরে রাখা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এখনও চলছে গণনা।
এবারের ভোটে বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের প্রবেশে নিয়ন্ত্রণকে এবিভিপি মূল অস্ত্র করেছিল। এছাড়াও অবাঙালি ভোট তারাই পাবে এমন ও দুরাশা ছিল তাদের। কিন্তু প্রায় সব দাবি নস্যাৎ করে ডিএসএফ ঝড়ে ভরাডুবি অবস্থা। এখন কোথায় মুখ লুকাবে বিরোধীরা, সেই জায়গাই খুঁজে বেড়াচ্ছে। এবারের ছাত্রভোটেই প্রথম ইঞ্জিনিয়ারিং ও কলা বিভাগে মূল আসনের প্রত্যেকটিতেই প্রার্থী দিয়েছে এবিভিপি। ভোটদানের হার ভাল হওয়ায় ভাল ফলের ব্যাপারে আশাবাদী ছিল তারা। কিন্তু সব আশাই কার্যত নিরাশায় পর্যবসিত হয়েছে। সব কটি আসনই নিজেদের দখলে রেখেছে ডিএসএফ।
যদিও এবিভিপি ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামায়নি গত কয়েক বছর ধরে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র সংসদের ক্ষমতায় থাকা ডিএসএফ। ডিএসএফ এর বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক অভিক পাল আগেই বলেছিলেন, ‘গত ৪৩ বছর ধরে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষমতা ডিএসএফের হাতেই ছিল, এবারও তাই হবে।’
প্রসঙ্গত, বুধবার নির্বিঘ্নেই শেষ হয় যাদবপুরের ছাত্র ভোট। এদিন সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে ভোটগ্রহণ পর্বের উপর নজরদারি চালান উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। ভোটে অশান্তির কথা মাথায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীর পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থা থেকে নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন করা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ছাত্রভোটে ৮০ শতাংশেরও বেশি পড়ুয়া অংশগ্রহণ করেছে।