সিএএ-এনপিআর-এনআরসি। ক্রনোলজির অন্ধকার মোড়কে মোড়া এই ৩ রক্তচক্ষুকে নিয়ে উদ্বেগ কম নেই দেশবাসীর। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও চলছে দেশজুড়ে। এই আবহের মাঝেই মঙ্গলবার বড় ঘোষণা করে দিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। স্পষ্টভাষায় তিনি জানিয়ে দিলেন ‘সিএএ নিয়ে রাজ্যবাসীর চিন্তার কোনও কারণ নেই।’ পাশাপাশি তাঁর আরও দাবি, ‘মহারাষ্ট্রে কোনওভাবেই লাগু করতে দেব না এনআরসি। এবং এনপিআর যদি হয় তবে তার প্রতিটা ফর্ম আমি নিজে হাতে পরীক্ষা করব।’
মঙ্গলবার সিন্ধুদুর্গে এক সাংবাদিক বৈঠকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বলেন, ‘সিএএ ও এনআরসি দুটো আলাদা বিষয়। এনপিআর আবার তৃতীয় একটি বিষয়।’ এরপরই তিনি বলেন, ‘সিএএ নিয়ে কারও ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এনআরসি না এসেছে আর না এটা আগামী দিনে আসবে। যদি এনআরসি আসে তবে না এটা শুধু মুসলিমদের জন্য, বরং হিন্দু, দলিত, আদিবাসী সকলের জন্য সমস্যা তৈরি করবে এই সিদ্ধান্ত। যদিও কেন্দ্র এনআরসি নিয়ে এখনও কিছু বলেনি।’ পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘এনপিআর শুধু একটি জনগণনা। এবং এর প্রতিটা ফর্ম আমি নিজে হাতে পরীক্ষা করব। আমার মনে হয় না এতে কোনও সমস্যা হবে। কারণ প্রতি ১০ বছর অন্তর এমন জনগণনা হয়।’
একদিকে সিএএ ও এনপিআরের পক্ষে সওয়াল করছেন উদ্ধব ঠাকরে, অন্যদিকে অবশ্য কেন্দ্রের এই দুই সিদ্ধান্তের ঘর বিরোধী কংগ্রেস ও এনসিপি। সিএএ ইস্যুতে দু’পক্ষের ভিন্ন মতামত বেশ চড়েছে মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে। এর জেরে জোট সরকারের উপর প্রভাব পরতে পারে বলেও অনুমান করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এদিন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, উদ্ধব যতই সিএএ, এনপিআর-এর পক্ষে সওয়াল করুক না কেন কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় তাঁরা অনড় থাকবেই।