প্রথমে ভ্যালেন্টাইন’স ডে-র দিন শপথগ্রহণ হওয়ার কথা ঠিক হলেও পরে তা সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে পিছিয়ে রবিবার করা হয়। সেইমতো আজ, তৃতীয়বারের জন্য দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। যে মঞ্চ থেকে রাজনৈতিক জীবনের হাতেখড়ি হয়েছিল তাঁর, রাজধানীর সেই রামলীলা ময়দানের মঞ্চেই আরও পাঁচ বছরের জন্য দিল্লীর প্রশাসনিক প্রধানের দায়িত্বভার কাঁধে তুলে নিতে চলেছেন আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো। এ দিন সকাল ১০টায় নতুন মন্ত্রিসভার শপথ হবে বলে জানা গেছে।
মনে করা হচ্ছে, বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার পরে নিজের মন্ত্রিসভা নিয়ে কোনও রকম পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যে নাও যেতে পারেন আপ সুপ্রিমো। যে মন্ত্রিসভার উপরে ভরসা রেখেছে দিল্লীর আম জনতা, উজাড় করে দিয়েছে তাঁদের সমর্থন, সেই আম জনতার ভরসাকেই চূড়ান্ত হিসেবে গ্রহণ করে নিজের মন্ত্রিসভা অপরিবর্তিত রাখতে পারেন তিনি।
রাজনীতির ময়দানে যত শত্রুতাই থাক, রাজনৈতিক সৌজন্যবোধ থেকে রামলীলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানাতে ভোলেননি কেজরি। পাশাপাশি দিল্লীর ৭ জন সাংসদ এবং নব নির্বাচিত ৮ বিজেপি বিধায়ককের কাছেও আমন্ত্রণপত্র গিয়েছে। তবে এই শপথ অনুষ্ঠান একেবারের ‘দিল্লীকেন্দ্রিক’ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আপ নেতৃত্ব। যে কারণে অন্য কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা ভিন রাজ্যের রাজনৈতিক নেতাদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
কেজরিওয়ালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে রাজধানীর রামলীলা ময়দানে এক লক্ষ লোকের জমায়েত হবে বলেই মনে করছে আপ। এই আমআদমির কথা ভেবে, তাঁদের জন্য ৪, ৫, ৬, ৭, ৮ ও ৯ নম্বর গেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে, এক লক্ষ লোক হচ্ছে ধরে নিয়ে আপ এগোলেও, ময়দানে এত লোকের বসার বন্দোবস্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। পুলিশ সূত্রে খবর, বসার জন্য ৪৫ হাজার চেয়ার থাকছে। তবে, প্রচুর মানুষ ময়দান প্রাঙ্গণে যাতে দাঁড়াতে পারেন, সে ব্যবস্থা থাকছে। পাশাপাশি ১২টি পেল্লাই মাপের এলইডি স্ক্রিন রামলীলা ময়দানের বিভিন্ন প্রান্তে বসানো থাকবে। তাতে চোখ রাখলেও দেখা যাবে শপথগ্রহণের গোটা অনুষ্ঠান।