ভারত ও বাংলাদেশ, দুই প্রতিবেশী ও বন্ধু রাষ্ট্রের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন আরও দৃঢ় করতে ভাষা সূত্রের সাইকেল র্যালি। এই সাইকেল যাত্রার শুভ সূচনায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী লক্ষীরতন শুক্লা ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীর বার্তা নিয়ে এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার জন্য সাইকেল আরোহীদের শুভেচ্ছা জানান তাঁরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীকে তুলোধনা করলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
রেলমন্ত্রী গোয়েলকে কটাক্ষ করে সুব্রত বলেন, “রাজ্য সরকার সবসময় কেন্দ্রকে সাহায্য করে। কারণ, রাজ্যে কোনও প্রকল্প হলে রাজ্যের মানুষই উপকৃত হবে। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে বাংলার জন্যে কখনই কোনও সাহায্য পাওয়া যায় না। উলটে কেন্দ্র সবসময়েই বাংলাকে বঞ্চনা করে। তবুও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার উন্নয়ন যজ্ঞকে অব্যাহত রেখেছেন”।
কলকাতা থেকে বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে শেষ হবে এই দুই দেশের মেলবন্ধন সাইকেল যাত্রা। ভালোবাসার দিন থেকে শুরু করে শহীদ দিবসের দিন, প্রায় ৮ দিন ও ৮রাতে অতিক্রম করে ২১ জন সাইকেল আরোহী বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দিলেন। ভারত ও বাংলাদেশ, দুই প্রতিবেশী ও বন্ধু রাষ্ট্রের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন আরও দৃঢ় করতে ভাষা সূত্রের সাইকেল র্যালি। এবং এই সম্প্রীতি যাত্রা যাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে, তাঁরা দুই রাষ্ট্রের দুই উজ্জ্বল নক্ষত্র – পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। ”বাংলা কখনো হয় না ভাগ”- বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা নিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আগেই ৫০০ কিলোমিটারের এই সম্প্রীতি যাত্রা প্রবেশ করবে গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে।