জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার এক ছাত্রী দিল্লী পুলিশের বিরুদ্ধে আনলেন গুরুতর অভিযোগ। গত ১০ ফেব্রুয়ারির বিক্ষোভে পুলিশ চরম হেনস্থা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন সেই ছাত্রী। তিনি জানান, “কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা তাঁদের যৌনাঙ্গে লাথি মেরেছে। জামাকাপড়, হিজাব টেনে ছিঁড়ে দিয়েছে। তাঁদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে”।
ফের সোমবার পুলিশের লাঠির মুখে পড়েন জামিয়া মিলিয়ার পড়ুয়ারা। এ বার নৃশংসতার আগের সমস্ত নজির ছাপিয়ে গেছে। পড়ুয়াদের একাংশ বলেন, ‘সিএএ-বিরোধী মিছিল আটকাতে প্রতিবাদীদের গোপনাঙ্গে লাথি মেরেছেন পুলিশকর্মীরা। গোপনাঙ্গ লক্ষ্য করে লাঠিও চালানো হয়েছে। খুলে নেওয়া হয়েছে বোরখা।’ পুলিশের মারে জখম কম করে ১৬ জন পড়ুয়া। যাঁদের মধ্যে এক জনকে আইসিইউ-তে ভর্তি করেছে।
এই ঘটনায় বিক্ষোভে মুখর আন্দোলনকারীরা। পুলিশ বরাবরের মতোই মুখে কুলুপ এঁটেছেন। দিন দশেক আগে ‘ইয়ে লো আজাদি’ বলে জামিয়ার পড়ুয়ার উপর গুলি চালিয়েছিল এক নাবালক। সে বার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল নীরব দর্শকের ভূমিকা নেওয়ার। এ বার খোদ পুলিশই মারধরে অভিযুক্ত।