গেরুয়া শিবিরকে হেলায় উড়িয়ে আরও ৫ বছরের জন্য দিল্লীর মসনদে বসেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মঙ্গলবারের পর থেকেই আপ-এ নাম লেখানোয় হিড়িক পড়ে গিয়েছে দিল্লীজুড়ে। দিল্লীতে ফের একবার আপ সরকার ক্ষমতায় আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ১০ লক্ষ মানুষ আপ-এ যোগ দিয়েছেন বলে দাবি দলীয় নেতৃত্বের।
মোবাইলে মিসড কল দিলেই আম আদমি পার্টির সদস্য। দিল্লীতে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরে ওই ভাবে ১০ লক্ষ মানুষ তাদের দলে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করল আপ। আপ থেকে টুইট করে বলা হয়েছে, আমাদের জয়ের পর ২৪ ঘণ্টায় ১০ লক্ষের বেশি মানুষ দলের সদস্য হয়েছেন। অপর একটি টুইটে বলা হয়েছে, সদস্য হয়েছেন ১১ লক্ষের বেশি।
আপ-এর দাবি, দলের বিপুল এই সাফল্যের পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ আপ-এ যোগ দিয়েছেন। প্রতি মুহূর্তে সংখ্যাটা বেড়েই চলেছে বলেও দাবি আপ নেতাদের। দেশের উন্নতির স্বার্থে নতুন সংকল্প নিয়েছে আপ। ‘রাষ্ট্র নির্মাণ’ শীর্ষক কর্মসূচিতে নাগরিকদের সামিল হতে আবেদন জানিয়েছেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
পরপর ৩ বার কেজরিওয়ালের উপরই ভরসা রেখেছেন দিল্লীবাসী। নজিরবিহীন এই সাফল্যের পরেও কেজরির পা মাটিতেই। দিল্লীবাসীকেই সাফল্যের পুরো কৃতিত্ব দিয়েছেন আপ প্রধান। পুঁজি বলতে ছিল, গত ৫ বছরের কাজ। তা নিয়েই দিল্লীর বাজি জিতেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ফুৎকারে উড়িয়েছেন গেরুয়া শিবিরকে। জামানত জব্দ করে অস্তিত্ব সংকটে ফেলে দিয়েছেন কংগ্রেসকে। রাজনৈতিক মহলের মতে, কাজেই বাজি-মাত কেজরির। দিল্লীর ৭০ বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৬২টিতেই জয় পেয়েছেন আপ প্রার্থীরা।
দিল্লীর ঐতিহাসিক রামলীল ময়দান নতুন ইতিহাসের সক্ষী হবে রবিবার। এই ময়দানেই কয়েক বছর আগে সমাজকর্মী আন্না হাজারের সঙ্গে দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। এর পরেই রাজনৈতিক দলগঠন। সেই অর্থে বলা যায়, রামলীলা ময়দান আম আদমি পার্টির আঁতুড় ঘর।