ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে বিনিয়োগকারী সংস্থা কোয়েসের গাঁটছড়া ছিন্ন হওয়ার সরকারি ঘোষণা হয়ে গেল সোমবার। বহু চর্চিত এই বিচ্ছেদের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও নিজেদের নাম মুছে দিল ওই সংস্থা। আই লিগের মধ্যে যা নিয়ে তুমুল আলোড়ন লাল-হলুদে।
হঠাৎ কেন এই বদল? ক্লাব কর্তারা এ নিয়ে অন্ধকারে। শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার সোমবার রাতে বললেন, ‘আমরা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। এখনও কিছু জানি না।’ তবে অন্দরে ক্ষোভ, ক্লাবকে না জানিয়ে কোয়েস কী ভাবে নিজেদের নাম লোগো থেকে তুলে নিল? তা হলে কি এতদিনের ব্যর্থতার দায় এখন ক্লাবের ঘাড়েই চাপিয়ে দিতে চাইছে তারা?
রবিবার আবার কোয়েস জানিয়েছিল, সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক রাখতে চায় না তারা। যদিও সেই ঘোষণা ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার অবশ্য লোগো থেকে কোম্পানির নাম উধাও! কিছুদিন আগে এই সোশ্যাল মিডিয়াতেই কোয়েস জানিয়ে দিয়েছিল, ৩১-মের পর ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে তাদের চুক্তি শেষ। কোয়েসের সিইও সুব্রত নাগও একই কথা বলেছেন। এখন যা অবস্থা, আই লিগের বাকি ম্যাচগুলো কারা টিম চালাবে, নানা সিদ্ধান্ত নেবে, সবই অন্ধকারে।
কিন্তু চুক্তি থাকা সত্ত্বেও ফুটবল দলের লোগো থেকে কেন সরিয়ে নেওয়া হল কোম্পানির নাম? বেঙ্গালুরুতে ফোনে ধরা হলে সুব্রতবাবু বললেন, ‘‘এটা কলকাতার অফিস বলতে পারবে। ওরাই এটা করেছে।’’ কলকাতায় সংস্থার মুখপাত্র সঞ্জিত সেন অবশ্য ফোন ধরেননি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ১৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার কল্যাণীতে পঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে কাশিম আইদারাদের জার্সির লোগোতে কি বিনিয়োগকারীর নাম থাকবে? সুব্রতবাবু বলেন, ‘‘এখন মনে হয় সেটা সম্ভব হবে না।’’
তবে ক্লাবে গুঞ্জন, আই লিগে টানা হারার দায় এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত। বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, আইনি পথ প্রশস্ত করতেই বিনিয়োগকারীরা ধাপে ধাপে এগোচ্ছে। তারা আর লাল-হলুদে বিনিয়োগ করতে রাজি নয়।