অভিযোগ ফের একবার কংগ্রেসের আক্রমণের মুখে পড়ল মোদী সরকার। অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির পাশাপাশি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এবার এলআইসির টাকা তছরুপের অভিযোগ আনলেন রাহুল গান্ধী। টুইট করে সরাসরি মোদী-শাহকে নিশানা করলেন রাহুল। তবে অর্থনীতিবিদদের মতে, এখনই অতটা ভয় না পেলেও এলআইসি-র পরিস্থিতি সত্যিই আশঙ্কার। কারণ ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের প্রথম ৬ মাসে এলআইসি’র এনপিএ অর্থাৎ অনাদায়ী সম্পদ ৬.১০ শতাংশ। যা ইয়েস ব্যাংক, অ্যাক্সিস ব্যাংক ও আইসিআইসি ব্যাংকের মতো ধুঁকতে থাকা ব্যাংকের প্রায় কাছাকাছি।
কংগ্রেস অবশ্য আগেই অভিযোগ করেছিল, এলআইসি-র ভবিষ্যৎ সঙ্কটে ফেলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের দুই রিপোর্টকে হাতিয়ার করে এই অভিযোগ তোলা হয়। অভিযোগ ছিল, ১৯৫৬ সালে গঠনের পর থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ছ’দশকে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় এলআইসি-র মোট ১১.৯৪ লাখ কোটি ঢালা হয়েছিল। তবে ২০১৯-এ তা আচমকা বেড়ে ২২.৬৪ লাখ কোটিতে পৌঁছয়। অর্থাৎ, মাত্র ৫ বছরেই ১০.৭ লাখ কোটি এলআইসি-র টাকা অন্যত্র বিনিয়োগ করা হয়েছে। এই নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেছিল কংগ্রেস।
এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে আইডিবিআই ব্যাঙ্কের কথা বলা হয়েছে। ঋণে জর্জরিত সংস্থায় ২১ হাজার কোটি ঢেলে ৫১ শতাংশের অংশীদারির মালিকানা নিয়েছে এলআইসি। তবে ওই পরিমাণ টাকার অধিকাংশই অনুৎপাদক সম্পদে চলে গেছে। এরপরও ওই ব্যাঙ্কে আরও ৯৩০০ কোটি ঢালার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। যারমধ্যে ৪ হাজার কোটির বেশি এলআইসি দেবে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের।
এদিন রাহুল গান্ধী টুইট করে বলেন, ‘কোটি কোটি সৎ মানুষ তাঁদের রোজগার এলআইসি’র ওপর ভরসা করে সেখানে সঞ্চয়ের জন্য রাখেন। কিন্তু মোদী সরকার এলআইসি’কে ধ্বংস করে চলেছে। আর তা মানুষের বিশ্বাস নিয়ে খেলার সামিল। সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন।’