বিধায়ক বা সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে এবার পরামর্শ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। তারা জানিয়েছে, দেশের বিধায়ক বা সাংসদদের পদ খারিজ করে দেওয়ার ক্ষমতা এবার স্পিকারের হাত থেকে নিয়ে নেওয়া হোক। বরং, সেই সংক্রান্ত আবেদন খতিয়ে দেখুক একটি স্বাধীন ও স্থায়ী সংস্থা। মঙ্গলবার একটি মামলার প্রেক্ষিতে পার্লামেন্টকে এই পরামর্শই দিল সুপ্রিম কোর্ট।
মণিপুর সরকারের বনমন্ত্রী টি শ্যামকুমারের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন করেছে কংগ্রেস। সেই মামলাতেই এই পরামর্শ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি রোহিংটন ফলি নরিম্যানের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির একটি বেঞ্চ এ দিন জানিয়ে দেয়, ‘বিধায়ক ও সাংসদদের পদ খারিজের বিশেষ ক্ষমতা স্পিকারের হাতে থাকবে কি না তার যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা সংসদের পুনর্বিবেচনা করার এটাই সেরা সময়।’ বিচারপতিদের যুক্তি, এক জন স্পিকার নিজেও একটি রাজনৈতিক দলেরই সদস্য। তাই এক্ষেত্রে রাজনীতি চলে আসতে পারে।
ঘটনার সূত্রপাত মণিপুর সরকারের যে মন্ত্রীকে নিয়ে সেই টি শ্যামকুমার ভোটে জিতেছিলেন কংগ্রেসের টিকিটে। তার পর তিনি বিজেপিতে যোগ দেন এবং মন্ত্রী হন। তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের জন্য স্পিকারের কাছে আবেদন করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হওয়ায় আদালতে যায় কংগ্রেস। এবার সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই এমন পরামর্শ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।