কথায় আছে মাঘের শীতে নাকি বাঘ পালায়। কিন্তু এবার মাঘে শীত তো দূরস্থান, উল্টে বেলা বাড়লে সূর্যের তেজে বাইরে দাঁড়ানো দায়। অন্য বছর এ সময় শীতের মিঠে রোদ উপভোগ করেন কলকাতাবাসী। কিন্তু এবছর যেন উল্টো ব্যাপার৷ জানুয়ারির মাঝপথ থেকেই বিদায় নিয়েছে শীত।
ভোরের দিকে কুয়াশা ঘন চাদর বিছিয়ে রাখলেও, বেলা বাড়তেই সব হাওয়া। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, দিনে তাপমাত্রা প্রায় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছে। রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে দুই ডিগ্রি বেশি। আর সোমবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রি বেশি।
দক্ষিণ বঙ্গে ঠান্ডা না থাকলেও পাহাড়ে কিন্তু এখনও কনকনে ঠান্ডা রয়েছে। কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে দার্জিলিং, সান্দাকফু। সোমবার দার্জিলিঙের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২.৮ ডিগ্রি এবং শিলিগুড়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শিলিগুড়িতে দিনের বেলায় আকাশ মেঘলা থাকছে। শিলিগুড়ি লাগোয়া গজলডোবা, সুকনাতেও যথেষ্ট ঠান্ডা রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পাহাড়ে বৃষ্টিও হয়েছে।
তবে কাশ্মীর এবং উত্তর ভারতের উপর তৈরি হওয়া পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কেটে গেলে বাধাপ্রাপ্ত উত্তুরে হাওয়া ফের এ রাজ্যে ঢুকতে পারবে। মাঘের শীত আর ফেরার সম্ভাবনা প্রায় নেই বলেই জানিয়েছেন আবহবিদেরা। তবে পাশাপাশি আবহবিদেরা এও জানিয়ে দিয়েছেন, শীত ঝোড়ো ইনিংসও খেলে যেতে পারে। তেমনটা হলেও কনকনে ঠান্ডা পড়ার আর কোনও সম্ভাবনা নেই, নিশ্চিত করেছেন তাঁরা।