এনআরসি ও সিএএ-র বিরোধিতায় গোটা দেশেই প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। দিল্লী, বাংলা, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র সহ অন্যান্য বেশ কয়েকটি রাজ্যে এই আইনগুলির বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। এদিকে উত্তরপ্রদেশে আন্দোলনের রূপ ফের বড় আকার ধারন করায় প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে আগেই লখনউয়ে ফের ১৪৪ ধারা জারি করে দিল যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন।
নাগরিকত্ব আন্দোলনের জেরে উত্তরপ্রদেশ রণক্ষেত্র হওয়ার পর থেকেই আন্দোলনে বিধিনিষেধ আরোপ হয়। সিএএ অন্দোলনের জেরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায়, ২০১৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর ১৪৪ ধারা জারি করতে হয়েছিল যোগী প্রশাসনকে। আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ২০ জন নিহত হন। বারাণসী, আলিগড়, প্রয়াগরাজ, লখনউ-সহ গোটা রাজ্যে গ্রেফতার হয় কমপক্ষে ৩০০০ মানুষ।
আন্দোলনকারীদের মতে, ইউপি পুলিশ গায়ের জোরে আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করছে গত কয়েকদিন ধরে। তবুও তাঁরা ব্যর্থ। যোগীর চোখরাঙানিকে উপেক্ষা করে ক্রমশই প্রশস্ত হচ্ছে কেন্দ্রবিরোধী এই আন্দোলন। তাই আসন্ন প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে, লখনউয়ে আগে-ভাগে শনিবার থেকে ১৪৪ ধারা ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছে।