পাহাড়ে ২ বছর আগে ঠিক পুরভোটের আগে তৃণমূলে যোগদানের এক হিড়িক দেখা গিয়েছিল। বিজেপি ও গুরুংপন্থী মোর্চায় ফের ধস নামা শুরু হয়েছে। শুক্রবারও মিরিকে ৩০ জন গুরুংপন্থী মোর্চা নেতা–কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেছেন। সেবারের যোগদানের পেছনে মূল কারণ ছিল পাহাড়ের উন্নয়নে তৃণমূলের ভূমিকা। আর এবারও পাহাড়ে মমতার উন্নয়নের জোয়ার। তার পাশাপাশি মোর্চারা বুঝতে পারা যে বিজেপি তাদের কেবল রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করেছে।
পার্বত্য তৃণমূলের সভাপতি লালবাহাদুর রাইয়ের হাত ধরে ৩০ গুরুংপন্থী তৃণমূলে যোগ দেন। লালবাহাদুর রাই জানান, ‘পাহাড়ের মানুষও উন্নয়নের কর্মসূচিতেই আস্থা রাখছেন। পাহাড়ের মানুষ বুঝতে পেরেছেন বিজেপি তাঁদের সঙ্গে শুধুই রাজনীতি করেছে।’
একদিকে পাহাড়ের উন্নয়ন নিয়ে বিজেপির অবস্থান পরিষ্কার নয়। অন্যদিকে এনআরসি নিয়ে বিজেপি যা বলেছিল, বাস্তবে তার উল্টো ফলাফল দেখেছেন গোর্খা জনজাতির মানুষ। ফলে বিজেপির প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়ে পাহাড়ের মানুষ। এরপর থেকেই বিজেপি ও গুরুংপন্থী মোর্চায় নতুন করে ভাঙন শুরু হয়। এনআরসির বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রতিবাদ দেখে পাহাড়ের মানুষেরও অবস্থান বদলানো শুরু হয়েছে।