সিএএ-এনআরসির পর এবার এনপিআর-এর বিরুদ্ধেও সরব হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি কেন্দ্রের ডাকা এনপিআর সংক্রান্ত বৈঠক বয়কটের কথাও ঘোষণা করলেন মমতা। প্রসঙ্গত, আগামী ১৭ জানুয়ারি এনপিআর নিয়ে বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই বৈঠকে তিনি যোগ দেবেন না বলে বুধবার কলকাতায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ধর্ণামঞ্চ থেকে ঘোষণা করেছেন মমতা। শুধু তিনি নন, বাংলার কোনও প্রতিনিধিও এই বৈঠকে যাবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।
সিএএ-র বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভের মধ্যেই এনপিআরের কাজে হাত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। একমাত্র বাংলা এবং ত্রিপুরা ছাড়া প্রতিটি রাজ্য নতুন করে এর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই তালিকায় আছে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিও। যার জেরে রাজনৈতিক মহলে নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কারণ সিএএ-র মতো প্রস্তাবিত এনআরসি’র বিরুদ্ধেও সরব হতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসকে। আর এনপিআর-কে দেশজুড়ে এনআরসি চালুর প্রাথমিক পদক্ষপ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এনপিআর মানে নাগরিকত্ব নয়। এটা দেশের বাসিন্দাদের তথ্য সংগ্রহের জন্যে। এর আগে ২০১১ সালের আদমসুমারির আগে ২০১০ সালে প্রথমবার এনপিআর তৈরি করা হয়। যা ২০১৫-তে পরিমার্জিত হয়। তবে কোন রাজ্যে প্রকাশিত নোটিসে কী আছে, তা দেখতে হবে।’