ঠিক যেন ডুরান্ড কাপের পুনরাবৃত্তি। সেদিনও গোকুলামের কাছে হেরে ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন শেষ হয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের। আর এদিন হেরে যাওয়ার ফলে আই লিগের দৌড়ে বেশ কিছুটা পিছিয়ে পড়ল লাল-হলুদ ব্রিগেড। এদিন লড়াইটা ছিল মূলত দুই স্প্যানিশ কোচের। আলেহান্দ্রো মেনেন্ডেজ গার্সিয়া বনাম ফার্নান্দো অ্যান্ড্রেস সান্তিয়াগো ভালেরার। সেই লড়াইয়ে কেরল থেকে কল্যাণী এসে ইস্টবেঙ্গলকে একেবারে দুরমুশ করে চলে গেল গোকুলাম। যা বড় ম্যাচের আগে বেশ চিন্তায় রাখবে ইস্টবেঙ্গলকে। কাজের দিনেও কল্যাণী স্টেডিয়াম ভরানো লাল-হলুদ সমর্থকরা গ্যালারি থেকে বলতে বলতে নামলেন, ‘এটা ডিফেন্স নাকি তাসের ঘর!’
এদিন খেলার শুরু থেকেই আক্রমনাত্মক ফুটবল শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। মাঝমাঠ, দুটো উইংকে ব্যবহার করে একের পর এক আক্রমণ আছড়ে ফেলে গোকুলাম বক্সে। আট মিনিটের মাথাতেই গোল পেয়ে যেতে পারত ইস্টবেঙ্গল। তিরিশ গজ দূর থেকে নেওয়া জুয়ান মেরা গঞ্জালেসের ইনস্টেপ দুরন্ত সেভ করে দেন গোকুলামের গোলরক্ষক তথা ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তনী উবেইদ। কিন্তু তারপরই খেলা ধরে নেয় কেরলের দলটি। আক্রমণের জোড়া ফলা হেনরি কিসেকা ও মার্কোস জোসেফ ত্রাহি ত্রাহি রব তৈরি করে ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সে। ২১ মিনিটে বক্সের ভিতর ফাঁকা জায়গায় বল পেয়ে কমলপ্রীতকে কোমরের মোচরে ছিটকে দিয়ে সেকেন্ড পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন কিসেকা।
কিছুক্ষণের মধ্যেই খেলায় ফেরে ইস্টবেঙ্গল। ২৭ মিনিটে লাল-হলুদকে সমতায় ফেরায় কাশিম আইদারা। বক্সের বাইরে ফ্রিকিক পায় ইস্টবেঙ্গল। ডিকার ফ্রিকিক অসাধারণ হেড করেন কোলাডো। পোস্টে লাগে হেড। ফিরতি বল জালে জড়িয়ে দেন কাশিম। কিন্তু প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ফের এগিয়ে যায় গোকুলাম। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে আত্মঘাতী গোল করে বসেন মার্তি ক্রেসপি।
এরপর দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় গোকুলাম। ফলও পায় হাতেনাতে। ৬৭ মিনিটে মাঝমাঠের একটু উপরে বল পান কিসেকা। চেস্ট ট্র্যাপে নামিয়ে ফাঁকা জায়গায় ঠেলে দেন মার্কোসকে। গোলকিপার রালতের ভুলে গোল করে যান তিনি। এরপর ইস্টবেঙ্গল সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল ফরওয়ার্ড লাইন। এই ম্যাচ হেরে ইস্টবেঙ্গল পয়েন্ট টেবিলে আরও খানিকটা নেমে গেল। পয়েন্ট দাঁড়াল ৬ ম্যাচে ৮। সেইসঙ্গে রবিবার ডার্বির আগে চাপ বাড়ল ইস্টবেঙ্গলের।