গতকালই তিন হিজবুল জঙ্গিকে দিল্লীতে নিয়ে যাওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছে কাশ্মীরের ডিএসপি দেবেন্দ্র সিং। তাঁকে জেরা করে জানা গিয়েছে, এই কাজের জন্য ১২ লক্ষ টাকা নিয়েছিল সে। তদন্তে আরও জানা যায়, ২০০১ সালে সংসদ হামলার মূলচক্রী হিসেবে ফাঁসিতে ঝোলা আফজল গুরুকে দিল্লীতে এক জঙ্গিকে লুকিয়ে রাখার নির্দেশও দিয়েছিল এই দেবেন্দ্রই। সেই জঙ্গিই পরে সংসদে হামলা চালায়। শুধু এই ঘটনাই নয়, দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই জঙ্গিদের সাহায্য করেছে সে।
এই বিষয়গুলি প্রকাশ্যে আসার পরই কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেছেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরি। সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন, ধৃত ডিএসপি দেবেন্দ্র সিং যদি শিখ না হয়ে মুসলিম হত তা হলে কী হত? এত বড় মাপের একজন পুলিশ আধিকারিক গ্রেফতার হওয়ার পরে পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার ঘটনার ফের তদন্ত করা উচিত বলেও এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে মন্তব্য করেন তিনি।
সোমবার এই বিষয়ে একাধিক টুইট করে কোনওভাবেই দেশের শত্রুদের যাতে ছাড়া না হয় তার পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা। এক্ষেত্রে যেন তাঁদের ধর্ম ও সামাজিক পরিচয় কোনও প্রভাব ফেলতে না পারে সেকথাও উল্লেখ করেন। টুইট করে প্রশ্ন করেন, ‘দেবেন্দ্র সিংয়ের বদলে ওই ডিএসপি-র নাম যদি দেবেন্দ্র খান হত, তাহলে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘর আক্রমণ আরও তীব্র ও কৌতূকপূর্ণ হত। আমাদের দেশের শত্রুদের শরীরের রং, বর্ণ এবং ধর্ম নির্বিশেষে নিন্দিত হওয়া উচিত।’
অন্য আরও একটি টুইটে তিনি পুলওয়ামার সিআরপিএফ কনভয়ে হওয়া জঙ্গি হামলার পুনরায় তদন্ত করার দাবি তোলেন। তাঁর কথায়, ‘এত উচ্চপদস্থ একজন পুলিশ আধিকারিকের জঙ্গি যোগ নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তাই পুলওয়ামাতে হাওয়া জঙ্গি হামলার তদন্ত নতুন করে করা উচিত।’ অধীরবাবুর সুরে একই দাবি করেছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা।