গ্রেফতার বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। কোচবিহারের শীতলকুচি যাওয়ার পথে গ্রেফতার করা হয়েছে এই বিজেপি নেতাকে। মাথাভাঙা থানায় নিয়ে আসা হয় তাঁকে। আর এরপরেই থানা ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়।
রবিবার কোচবিহারের সিতাইমোরে বঙ্গ বিজেপির সভায় গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। সেখানে আগে থেকে জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা। আইন অমান্য করেই সেখানে জনসভা এবং মিছিলের কর্মসূচি নিয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। আর সেই কারণেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে সায়ন্তন বসুকে। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।
গতকাল বেলা গড়াতেই সভাস্থলে হাজির হন কর্মী-সমর্থকরা। কলকাতা থেকে কোচবিহার পৌঁছন সায়ন্তন বসু। কিন্তু শীতলকুচি ব্লকে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় এবং সভার অনুমতি নেই একা জানিয়ে মাথাভাঙা পঞ্চানন মোড়ে বিজেপি নেতার গাড়ি আটকায় পুলিশ। বাধা পেতেই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে বিজেপির নেতা-কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপির জেলা সভাপতি মালতি রাভা। ১৪৪ ধারা যে জারি রয়েছে তাঁর লিখিত প্রমাণ দেখতে চান সায়ন্তন বসু। অশান্তির খবর পেয়েই সভাস্থল থেকে পঞ্চানন মোড়ে জমায়েত করে কর্মীরা। এরপরই বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুকে আটক করে পুলিশ।
গতকাল সায়ন্তনকে পুলিশ যখন বাধা দেয় তখন কার্যত রণক্ষেত্র চেহারা নেয় এলাকা। তীব্র বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। অবস্থা এতটাই খারাপ হয় যে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুলিশ সুপার ও মাথাভাঙা থানার আইসি। বিজেপি নেতাদের আটকাতে রাস্তার ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেয় পুলিশ। কিন্তু তা সত্ত্বেও আটকানো সম্ভব হচ্ছিল না বিজেপি নেতাদের। কার্যত প্রকাশ্যেই পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি বেধে যায়। এরপরেই সায়ন্তন বসুকে গ্রেফতার করা হয়।