উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, সত্যজিৎ রায় সৃষ্ট শৈশবজোড়া নস্ট্যালজিয়া আরও একবার ফিরতে চলেছে বড়পর্দায়। তবে খানিক আধুনিক ফরম্যাটে। নামভূমিকায় টলিউডের দুই অভিনেতা। সুপারস্টার দেব এবং তাঁর সঙ্গী হিসেবে দেখা যাবে রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়কে। নেপথ্যে পরিচালক রঙ্গন চক্রবর্তী। ছবির নাম ‘গুপী বাঘা ইন হাফগানিস্তান’। পরিচালক রঙ্গন চক্রবর্তীর এই প্রজেক্টের ভাবনা অনেক দিনের। নানা কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি।
এই নতুন গুপী-বাঘার কনসেপ্ট-স্ক্রিপ্ট সবটাই রঙ্গনের। কাল্ট ছবিকে নতুন আঙ্গিকে পেশ করা যথেষ্ট ঝুঁকির। নতুন কাহিনিতেও গুপী গান করে এবং বাঘা ড্রাম বাজায়। দু’জনের ইচ্ছে, তারা ব্যান্ড খুলবে। বাদ সাধে পরিবার। অতএব, বাড়ি থেকে তাদের বার করে দেওয়া হয়। ভূতের রাজার তিন বর এখানেও রয়েছে। তবে ভূতের বদলে তা হয়ে গিয়েছে মহীন। হ্যাঁ, এটা সেই মহীনের ঘোড়াগুলির সূত্রেই। গুপী-বাঘা সামলে দিয়েছিল হাল্লা-শুন্ডির যুদ্ধ, হারিয়ে দিয়েছিল হীরক রাজাকে। এই ছবির গুপী-বাঘাও পৌঁছে যায় তেমনই গোলমেলে একটি জায়গায়। যার নাম হাফগানিস্তান। সেই সূত্রেই ছবির নাম ‘গুপী বাঘা ইন হাফগানিস্তান’।
এবার বলা যাক, গুপী গাইন এবং বাঘা বাইন কতটা আধুনিক ফরম্যাটে আসছেন? রঙ্গনের গল্পেও গুপী গান গায় এবং বাঘা বাজনদার। তবে টুইস্ট এই দুই বন্ধুর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায়। দু’জনেরই ইচ্ছে তাঁরা ব্যান্ড খুলবে। তবে বাদ সাধে গুপী-বাঘার পরিবার। সাধারণ আর পাঁচটা মধ্যবিত্ত পরিবারে যা সমস্যা হয় আর কী! এখানেও তাই। অতঃপর দুই বন্ধুই বাড়িছাড়া হন। এখানেই তাঁদের বর দিতে ‘ভুতের রাজা’ হয়ে ওঠে মহীন। ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’র সূত্রই সম্ভবত এখানে টানতে চেয়েছেন রঙ্গন।
সুরিন্দর ফিল্মসের সঙ্গে ইতিমধ্যেই আলোচনা হয়েছে। আবার দেবও প্রযোজনা করতে পারেন ‘গুপী বাঘা ইন হাফগানিস্তান’-এর। প্রসঙ্গত, ২০১৯-এই পঞ্চাশে পা দিয়েছে ‘গুপী গাইন, বাঘা বাইন’ ছবি। কাল্ট ছবিকে নিজস্ব আঙ্গিকে সাজানো যে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ, তা বলাই যায়। সংগীতের দায়িত্বে দেবজ্যোতি মিশ্র। এবার দেখার দেবই কি প্রযোজনা করছেন, নাকি অন্য কেউ! কারণ, দক্ষিণারঞ্জন মিত্রের রচনা নিয়ে ‘হবুচন্দ্র রাজার গবু চন্দ্র মন্ত্রী’ সাহিত্যনির্ভর ছবিটিরও প্রযোজনা করছেন দেব।