রিংয়ের মধ্যেই সব বিতর্কের অবসান ঘটালেন ছ’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন তথা অলিম্পিকে বক্সিংয়ে ব্রোঞ্জ পদক জয়ী এম সি মেরি কম। ট্রায়ালে নিখাত জারিনকে হারালেন মেরি। এই জয়ের ফলে ৫১ কেজি বিভাগে অলিম্পিক কোয়ালিফায়ার খেলতে যাওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনও প্রশ্ন থাকল না মেরির সামনে। সামনের বছর ফেব্রুয়ারি মাসে এশিয়া-ওশিয়ানিয়া গ্রুপের এই কোয়ালিফায়ার খেলতে চীন যাবেন মেরি। ম্যাচ জিতলেও শেষে জারিনের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করতে অস্বীকার করেন মেরি। যা নিয়ে নয়া বিতর্ক শুরু হয়েছে। হারের পর কেঁদে ফেলেন নিখাত। তেলঙ্গানা ও জাতীয় ফেডারেশনের কর্তাদের কাছে কাঁদতে দেখা যায় তাঁকে।
শুক্রবার ৫১ কেজি বিভাগে জ্যোতি গুলিয়াকে হারান জারিন। অন্যদিকে মেরি হারান ঋতু গ্রিওয়ালকে। ফলে শনিবার দুই যুযুধানের লড়াই নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়েছিল। কিন্তু সেয়ানে-সেয়ানে টক্করের সাক্ষী থাকা হল না দর্শকদের। রাজধানী দিল্লীর ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামে ৫১ কেজি বিভাগে ৯-১ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে অলিম্পিক কোয়ালিফায়ারের টিকিট পকেটে পোরেন মেরি কম। তবে বাউট শেষ হওয়ার পরই জারিনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গেল লন্ডন অলিম্পিকে পদকজয়ী একমাত্র ভারতীয় মহিলা বক্সারকে। লড়াই শেষে কেন জারিনের সঙ্গে সৌহার্দ বিনিময়ে হাত মেলালেন মেরি কম? এমন প্রশ্নের উত্তরে মণিপুরি বক্সারের সোজাসাপটা জবাব, “আমি কেন ওর সঙ্গে হাত মেলাব? আপনি যদি কারও থেকে সম্মান আশা করেন, তবে আপনারও উচিত উলটোদিকের মানুষটিকে সম্মান দেখানো। আমি এই ধরনের স্বভাবের মানুষদের পছন্দ করি না। রিংয়ের ভিতর নিজেকে প্রমাণ করো, বাইরে নয়।”
এই ট্রায়ালের পক্ষে প্রথমে ছিলেন না মেরি। তাঁর বক্তব্য ছিল, ফেডারেশন যাঁকে পাঠাবে তাঁরই যাওয়া উচিত। তিনি বলেন, “অন্য অনেক খেলায় ট্রায়াল হয় না। কখনও দেখেছেন সাইনা নেহওয়াল কিংবা পিভি সিন্ধুকে ব্যাডমিন্টন খেলতে যাওয়ার জন্য ট্রায়াল দিতে হচ্ছে। কিন্তু আমাকে দিতে হবে।” পরে অবশ্য নিখাতের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন তিনি। শনিবার জবাব দিয়ে দিলেন মেরি। জানিয়ে দিলেন, তাঁর বয়স হয়তো নিখাতের চেয়ে অনেকটা বেশি, কিন্তু এখনও ধার কমেনি তাঁর। তাই টোকিও অলিম্পিকে বক্সিংয়ে পদক জয়ের জন্য ভারতের তরফে তাঁর থেকে ভাল আর কেউ নেই।