কলেজ চত্বরে হিংসাত্মক কার্যকলাপ, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়া, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হল আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০০ পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। গত ১৫ ডিসেম্বর অশান্তি চরমে ওঠে। আটক করা হয় কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী পড়ুয়াকে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জীর (এনআরসি) বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আগুন জ্বলেছিল আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে। দিল্লীর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারী ছাত্রছাত্রীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন আলিগড়ের পড়ুয়ারা। বিক্ষোভকারী পড়ুয়া ও পুলিশের খণ্ডযুদ্ধে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কলেজ চত্বর। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে জমায়েত হওয়া কয়েকশো প্রতিবাদী ছাত্রের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসও। চালানো হয় জলকামান।
আলিগড়ের এসএসপি আকাশ কুলহারি জানিয়েছেন, হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে প্রায় ১০ হাজার পড়ুয়াকে আটক করে পুলিশ। এফআইআর দায়ের হয়েছে তাঁদের মধ্যে হাজার জনের বিরুদ্ধে। গত ২৪ ডিসেম্বর এই বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের গায়ে হাত তোলা, অহেতুক হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে মামলা দায়ের করে কম্যান্ডান্ট ১০৪ ব্যাটেলিয়ন। অভিযোগ, গত ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৮টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে মানবশৃঙ্খল করে এই পড়ুয়ারা ধর্মীয় উস্কানিমূলক মন্তব্য করছিল। বাকি পড়ুয়াদের অশান্তি ছড়াতে তারাই উৎসাহিত করে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথরও ছোড়ে ওই পড়ুয়ারা।