বীরভূমে বিজেপিতে ফের ভাঙন ধরল। বিজেপির মহিলা মোর্চা ও যুব মোর্চা থেকে প্রায় ৭ হাজার কর্মী তৃণমূলে যোগদান করলেন। সাঁইথিয়া বিধানসভার অন্তর্গত সাঁইথিয়া পৌর এলাকা এবং স্থানীয় বেশকিছু গ্রাম থেকে বহু বিজেপি কর্মী বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে এসেছেন। অনুব্রত মণ্ডল বলেন, বিধানসভা নির্বাচন আসার আগে বীরভূম জেলা বিজেপি শূন্য হয়ে যাবে।
তৃণমূলে এসে বিজেপির প্রাক্তন মহিলা মোর্চার নেত্রী ঝুমা সাহা বণিক জানিয়েছেন, বিজেপির হাত ধরে রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয়েছিল। ধীরে ধীরে মহিলা যুব মোর্চা র নেত্রী হয়েছিলাম কিন্তু সময় যত গড়াচ্ছে ততই বুঝতে পারছি সাধারণ মানুষ বিজেপির পাশ থেকে সরে যাচ্ছে। মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু সেই মতো প্রতিশ্রুতি পালন করছেন না। তাই মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করব বলে তৃণমূলে এসেছি”।
লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশের মানুষকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেসকল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেই সব প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি উল্টে সাধারণ মানুষ দেশের নাগরিক থাকবে কিনা সে নিয়ে মানুষের মনে তৈরি হয়েছে একাধিক সন্দেহ। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ছে, জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, দেশে স্বৈরতন্ত্র প্রতিস্থাপনে সচেষ্ট হচ্ছে বিজেপি। তাই সাধারণ মানুষ বিজেপির ওপর বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়ছেন।
বিজেপির যুব মোর্চার নেতা পার্থ ভৌমিক দলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলে দাবি করেন, “লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই বিজেপি শুধু সাধারণ মানুষ নয় দলের কর্মীদেরও বোকা বানিয়েছে। মোদী বলেছিলেন কালো টাকা দেশে ফেরত আনবেন, দেশের সমস্ত দুর্নীতি রুখে দেবেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করবেন দেশের নাগরিকরা সুরক্ষিত থাকবেন কিন্তু কার্যক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতির সব উল্টো ফল দেখতে পাচ্ছি। এভাবে চলতে পারে না তাই বিজেপির যুব নেতা হিসেবে যে দায়িত্ব পালন করতে পারিনি সাধারণ মানুষের জন্য সেই উন্নয়নের কাজটা তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরে করতে চাই”।