ভারতের বুকে একটুকরো স্বর্গ কিন্নর! কাশ্মীরকে ভুস্বর্গ বলা হয় ঠিকই কিন্তু কাশ্মীরের পর যদি সেই জায়গার অধিকারি কোন জায়গা থাকে তা কেবল কিন্নর। কিন্নর জেলার উপত্যকাকে অনেকে বসপা বলেন। কিন্তু, পর্যটকদের কাছে এই বসপাই সাংলা নামে পরিচিত। সাংলার রূপে আপনাকে মুগ্ধ হতে হবেই। নির্জন যাপন, এবং প্রকৃতির রূপে মজে থাকতে, ভালো থাকতে হলে আপনাকে আসতেই হবে সাংলায়।
সাংলার রুক্ষ পাহাড়ের গায়ে ঝুলে থাকা পাথর আর তারই বুক চিরে চলে গিয়েছে ভয়ঙ্কর সুন্দর রাস্তা। ডান দিকে বয়ে চলেছে বসপা নদী। এই পথের শেষে নীল আকাশের নীচে তুষারশুভ্র পাহাড়ের কোলে সাংলা উপত্যকার বিস্তার। এখানে সারাদিন বরফে মোড়া শৃঙ্গে অবিরাম রংবদলের খেলা চলে।
বসপা নদীকে সঙ্গী করে তিন কিমি দূরে গেলেই দেখা মিলবে আজাদ কাশ্মীরের৷ অবাক হচ্ছেন! আসলে রাস্তা তৈরির কাজের খোঁজে একদল শ্রমিক এসেছিলেন সাংলায়। তাঁদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের একটা দূরত্ব তৈরি হয়। ফলে তাঁরা বসপা নদীর এ পারে এসে বসবাস শুরু করেন। তাঁরা এই জায়গার নাম রাখেন আজাদ কাশ্মীর।
বসপা নদীর বহতায় একটা ছোট্ট সাঁকো পেরোলেই চোখে পড়বে পাইনের সারি। গ্রামের ছোট ছোট বাড়িঘর। নানা রঙের। প্রতিটি বাড়ির আঙিনায় রয়েছে আপেলের গাছ। দূরের সাংলাকে এখান থেকে অসাধারণ লাগে। সকালে মেঘ নামে এইখানে। বর্ষায় এই ছোট্ট গ্রামের রূপ হয় দেখার মতো। সাংলায় এলে আজাদ কাশ্মীর অবশ্যই দেখে আসবেন। সাংলার ট্রাউট মাছের বেশ সুনাম আছে। আজাদ কাশ্মীর গ্রাম পেরিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় বসপার জলে পুষ্ট, তাজা রেনবো ট্রাউট কিনে নিতে পারেন।
কিভাবে যাবেন
হিমাচলের সারাহান থেকে জিওরি, করছাম হয়ে সাংলার দূরত্ব ৯৫ কিমি। শিমলা থেকে ২৩৫ কিমি। বাস আছে। ব্যক্তিগত গাড়িভাড়া করেও চলে আসা যায় সাংলা। এখানে থাকবার জন্য সরকারি কোন হোটেল নেই। তবে বেসরকারি অনেক হোটেল আছে।