হাজার এক অনিয়মের গন্ডী পেরিয়ে শরীরের বাড়তি মেদ যখন জানান দেয় এবার মেদ ঝরাতেই হবে এবং ডায়েট মেনে চলতেই হবে, তখনই একে একে বাদ যায় প্রিয় খাবার। সময় বের করে জিমে যেতে হয়। খাবার দেখে লোভ সামলাতে হয়। কিন্তু ভেতো বাঙালির সমস্যা হয় যখন ডায়েটিশিয়ান ভাত বাদ দিতে বলেন।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ না নিয়ে ডায়েট বাছতে গিয়ে শরীরে ক্যালোরির প্রয়োজনীয়তা বুঝে উঠতে পারেন না অনেকেই। ভাত বাদ দিয়ে হয়তো বাছেন এমন কোনও সিরিয়াল যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। তাই ডায়েট বাছার আগে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া খুব জরুরি।
পুষ্টিবিদ সুমেধা সিংহ জানালেন, “ভাত খেলে মেদ জমার যে ধারণা রয়েছে তাতেও রয়েছে ভাবনার অনেক গলদ। ভাত যদি নিয়ম মেনে খাওয়া যায়, তা হলে তা থেকে শরীরে মেদ জমে না তেমন। মূলত ভাতের গ্লাইকোজেন সহজে গলে না বলেই ভাত এড়িয়ে চলেন অনেকে, নিয়ম মানলে সে ভয়ও কাটে।’’ সুতরাং দেখে নেওয়া যাক কিভাবে পরিমান মতো ভাত খেলে মেদ বাড়ে না।
১.. ভাতের সঙ্গে সমপরিমাণে স্যালাড ও সব্জি খেলে ভাতের গ্লাইকোজেন জমে থাকবে না, সহজে গলার সুয়োগ পাবে।
২..ভাতের পরিমাণটা কমিয়ে বেশি করে মাছ, মাংস বা উদ্ভিজ্জ্ নানা প্রোটিন খান। ডাল, সব্জির পরিমাণ বাড়িয়েও ভাত খেতে পারেন।
৩..ভাত খেয়ে উঠেই চা-কফি নয়। এতে ভাতের স্টার্চ শরীরে থেকে যাওয়ার চেষ্টা করে।
৪..ভাত খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েন অনেকে। সেটা একদম উচিত নয়৷ সকাল থেকে তেমন কিছু না খেয়ে নানা কাজের পর দুপুরে পেটে কিছু পড়লেই ঝিমুনি আসবে, সে আপনি ভাত হোক বা অন্য কিছু৷ কিন্তু ভরপেট খেয়ে ঘুমোলেই বিপাকহার কমে শরীরে জমে মেদ। তাই ভাত খেয়ে ভাতঘুম নয়।