আসাম, ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ের পর এবার নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ সঞ্চার শুরু হলো খোদ কলকাতায়। গতকাল বীরভূমে ক্যাব নিয়ে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল। আর আজ শুক্রবার দুপুরেই মধ্য কলকাতা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল সংখ্যালঘুদের মিছিলে। বিকেল গড়াতে বিক্ষোভ আরও ছড়াতে শুরু করল। সংখ্যালঘুদের অবরোধে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ল পার্কসার্কাস সেভেন পয়েন্ট মোড়। দিনের ব্যস্ত সময়ে সাত দিকের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায় শহরের এই গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন বাংলায় এনআরসি, ক্যাব কিছুই হবে না। বাংলার মানুষকে আশ্বাস দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘যতই আইন পাশ করুক, কার্যকর করবে তো সরকার। বাংলার সরকার ওই আইন কার্যকর করবে না করবে না করবে না।’ মুখ্যমন্ত্রী দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষকে রাস্তায় নেমে এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর আবেদন জানিয়েছিলেন।
দুপুরে একপ্রস্থ আন্দোলন হয়েছে ধর্মতলায়। একাধিক সংখ্যালঘু সংগঠনের উদ্যোগে মিছিল হয় শহরের প্রাণকেন্দ্রে। সংখ্যালঘু সংগঠনগুলির নেতারা বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ভারতের মুসলমানদের নিশানা করেছে। এই আইন সরাসরি মুসলমানদের বিরুদ্ধে। সংবিধানের তোয়াক্কা না করেই এই আইন পাশ করানো হয়েছে বলে দাবি করেন তাঁরা। সংগঠনগুলির যৌথ লিফলেটে স্পষ্ট বলা হয়েছে, এই আইন নতুন করে দ্বিজাতি তত্ত্বের ধারণাকে সামনে নিয়ে আসছে। এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
শুধু কলকাতা নয়। অশান্তির খবর মিলেছে জেলা থেকেও। উলুবেড়িয়া, খড়দহ, ডায়মন্ড হারবার এবং মুর্শিদাবাদে স্থানীয়দের আন্দোলনে ব্যাহত হয় যান চলাচল। রেললাইনে অবরোধের জেরে বেশ কয়েকটি স্টেশনে বন্ধ হয়েছে ট্রেন চলাচলও। তবে কারও অসুবিধা করে রেল এবং পথ অবরোধ না করারই আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংযত হয়ে আন্দোলনের পক্ষেই জোরাল সওয়াল করেছেন তিনি।