ভাড়া বৃদ্ধির সঙ্গে কি পরিষেবারও উন্নতি ঘটছে কলকাতা মেট্রোর? এই প্রশ্ন ছিল তিলোত্তমার মানুষের মনে। এর আগে একাধিক বার মেট্রো বিভ্রাটে নাজাল হয়েছে শহরবাসী। তবে ভাড়া বৃদ্ধির পরে কি এই সমস্যার সমাধান হবে? বাস্তবে দেখা গেল, পরিষেবার মান সেই পড়ে আছে তলানিতে। বৃহস্পতিবারের মেট্রো-বিভ্রাট নতুন করে বোঝাল, নিরাপদ নয় পাতালপথ!
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিউ গড়িয়াগামী একটি এসি মেট্রো এসপ্ল্যানেড স্টেশন ছাড়তেই বন্ধ হয়ে যায় আলো-এসি। প্রথমদিকে পরিস্থিতি বুঝতে একটু সময় লেগে যায় যাত্রীদের। ওই অবস্থাতেই পার্ক স্ট্রিট, ময়দান পেরিয়ে রবীন্দ্র সদন মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত পৌঁছে যায় মেট্রোটি। ততক্ষণে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। চলন্ত মেট্রোতেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায় যাত্রীদের মধ্যে। তারপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এতগুলো স্টেশন কীভাবে আলো-এসি ছাড়া মেট্রো এগোল, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
৫ ডিসেম্বর থেকে মেট্রো রেলের ভাড়া বেড়েছে। আগে পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত ভাড়া ছিল পাঁচ টাকা। এখন দু’কিলোমিটারের বেশি মেট্রোয় চড়লেই অন্তত দশ টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে। মোটামুটি এই হারে সব স্তরেই ভাড়া বেড়েছে। সন্ধ্যায় এই ঘটনার পর মেট্রোর এক নিত্যযাত্রী ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘বেশি ভাড়া দিতে আপত্তি নেই। কিন্তু মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ এটা নিশ্চিত করুক যে, যাত্রীরা ঠিকঠাক বাড়ি ফিরতে পারবে। ভাড়া বাড়ছে, অথচ মেট্রো পরিষেবা উল্টে খারাপ হচ্ছে প্রতিদিন।’
ছ’বছর পর কলকাতা মেট্রোর ভাড়া বেড়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ খারাপ হতে থাকা মেট্রোর পরিষেবা ভাড়া বৃদ্ধির পর উন্নত করে তোলাই মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। যান্ত্রিক গোলযোগ ও নানা ধরনের ত্রুটি-বিচ্যুতি কলকাতা মেট্রোর নিত্যসঙ্গী। বিরক্ত যাত্রীরা নিয়মিত দাবি করেন প্রয়োজনে মেট্রো রেলের ভাড়া বাড়ানো হোক। কিন্তু সুস্থ ও স্বাভাবিক পরিষেবা নিশ্চিত করুক কর্তৃপক্ষ। তবে ভাড়া বাড়লেও পরিষেবার কোনো উন্নতি ঘটেনি, তা আজকের ঘটনায় স্পষ্ট।