আজ থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে চলেছে ভারত। আজ তরুণ ব্রিগেড নিয়ে নামতে চলেছেন অধিনায়ক কায়রন পোলার্ড। আন্দ্রে রাসেল, কার্লোস ব্রাথওয়েট, ডোয়েন ব্র্যাভো, সুনীল নারাইনদের জায়গায় ১৫ জনের দলে নেওয়া হয়েছে শেরফানে রাদারফোর্ড, খ্যারি পিয়ের, ব্র্যান্ডান কিং, কেসেরিক উইলিয়ামসদের মতো তরুণ ক্রিকেটারদের। আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে পোলার্ড দেখে নিতে চান, কতটা তৈরি তাঁর দলের তরুণেরা।
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে, বিশেষ করে টি-২০’তে ক্যারিবিয়ানরা বরাবরই ভালো পারফর্ম করেন। তাঁরা সারা বছর বিভিন্ন দেশে টি-২০ লিগ খেলে বেড়ান। তাই পোলার্ডের নেতৃত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভারতের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজ জেতার স্বপ্ন দেখছে। নিকোলাস পুরান নির্বাসিত থাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং কিছুটা হলেও ধাক্কা খেয়েছে। তবে লেন্ডল সিমন্স, এভিন লুইস, শিমরন হেটমায়ার, পোলার্ড, ব্র্যান্ডন কিং, দীনেশ রামদিন কিংবা জ্যাসন হোল্ডারের মতো ক্রিকেটাররা ম্যাচের মোড় ঘোরানোর ক্ষমতা রাখেন। দুই স্পিনার ও তিন পেসার খেলাতে পারে ক্যারিবিয়ানরা।
ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে পোলার্ড বলেছেন, ‘‘সিপিএল থেকে তরুণ ক্রিকেটারেরা উঠে এসেছে। আমাদের দায়িত্ব, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাদের সুযোগ দেওয়ার। এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করার কাজি ওদের। ক্রিকেটবিশ্বকে দেখিয়ে দেওয়ার এটাই সুযোগ, ওরাও পারে।’’ যোগ করেন, ‘‘অধিনায়ক হিসেবে আমার দায়িত্ব ওদের উপর ভরসা রাখার। এই সিরিজের অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবে ওরা।’’
গত সিরিজে ভারতের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই হার থেকে শিক্ষা নিয়েই এ বার নামছেন পোলার্ডরা। বলছিলেন, ‘‘ভারত বিশ্বের এক নম্বর দল। ওদের সঙ্গে টেক্কা দিতে হলে আমাদের দলের প্রত্যেককে নিজের সেরাটা দিতেই হবে। এই দেশের পরিবেশ ও পরিস্থিতির সঙ্গে এক মাস আগে থেকে মানিয়ে নিয়েছি। এ বার মাঠে নিজেদের উজাড় করে দেওয়ার সময়। ভারতের মতো কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি। দেখা যাক ম্যাচে কী হয়।’’
অন্যদিকে ক্যাপ্টেনের ভূমিকায় কামব্যাক করছেন কোহলি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তিনি খেলেননি। তাই স্ট্যান্ড ইন ক্যাপ্টেন হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন রোহিত। তবে কোহলি ফেরায় ভারতের ব্যাটিং আরও শক্তিশালী হবে। তিনে নামতে পারেন বিরাট। চার নম্বরের সমস্যা অনেকটাই মেটানোর চেষ্টা করছেন শ্রেয়াস আয়ার। রানও পাচ্ছেন। বিশ্বকাপের প্রাথমিক স্কোয়াডে শ্রেয়াস হয়তো থাকবেন। পাঁচ নম্বরে মণীশ পাণ্ডের খেলার সম্ভাবনা প্রবল। দুরন্ত ফর্মে আছেন তিনি। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি জিতে বসেছিলেন বিয়ের পিঁড়িতে।
দুই স্পেশালিস্ট পেসার হিসাবে প্রথম একাদশে থাকতে পারেন দীপক চাহার ও ভুবনেশ্বর কুমার। স্কোয়াডে থাকলেও সামিকে হয়তো এই ম্যাচে খেলানো হবে না। সেক্ষেত্রে তৃতীয় পেসারের দায়িত্ব পালন করবেন শিবম দুবে। দুই স্পিনার খেলাতে পারে ভারত। সেক্ষেত্রে রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে যুজবেন্দ্র চাহালের খেলার সম্ভাবনাই প্রবল। কুলদীপ যাদবকে হয়তো আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।